হসপিটালাইজেশন বীমা দাবির নিয়মাবলী


হসপিটালাইজেশন বীমা দাবির নিয়মাবলী

এই পোস্টে সংযুক্ত ফরমটি ডাউনলোড করে পূরণের মাধ্যমে হসপিটালাইজেশন দাবী উপস্থাপন করতে পারবেন সদস্যরা। পূরণকৃত ফরমের সাথে ফরমে উল্লেখিত সকল দলিলাদিও জমা দিতে হবে।

বীমা সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা:

১. বিজেসির কল্যাণ ও ঝুঁকি কমিটি আগামী ১লা জুলাই ২০২০ থেকে নতুন নীতিমালার আওতায় ‘হসপিটালাইজেশন বীমা’ সুবিধা নিশ্চিত করবে।

২. যারা চলতি বছর রেজিস্ট্রেশন ফি ও বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করেছেন তারা আগামী ৩০শে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় থাকবেন।

৩. যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন ফি ও বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন নি। তারা আগামী ৭ই জুলাই ২০২০ সালের মধ্যে হাউজ প্রতিনিধির মাধ্যমে বিজেসি অফিসে রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রিমিয়াম জমা দিয়ে বীমা সুবিধার আওতায় আসতে পারবেন।

৪. প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এ আবেদন করেও যারা এখনো বীমা সুবিধা পাননি তাদেরকে আগামী ৭ই জুলাই ২০২০ এর মধ্যে বিজেসি কার্যালয়ে আবেদনের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

হসপিটালাইজেশন বীমার নীতিমালা:

ক. হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রতি সদস্য প্রত্যেক ৪ মাস অন্তর ৫০,০০০/- টাকা করে বছরে ৩ বার বীমা সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে হাসপাতাল রুম/ বেড ভাড়া প্রতিরাত ১,৫০০/- করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পাবেন। আইসিইউ/সিসিইউ (১৪ দিন পর্যন্ত) তে ভর্তির জন্য সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পাবেন। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় অন্যান্য চিকিৎসা খরচ যেমন: সার্জিক্যাল চার্জ, পরামর্শ ফি, ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা (রুম ও আইসিইউ/সিসিইউ খরচ বাদে) সর্বোচ্চ ৩০,০০০/- পাবেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিন আগে ও পরে চিকিৎসা খরচ যেমন- ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এর অন্তর্ভক্ত থাকবে। দেশে ও দেশের বাইরে যে কোন হাসপাতালে এই হসপিটালাইজেশন বীমা সুবিধা কার্যকর থাকবে।

খ. চিকিৎসা নেয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা ও কেনাকাটার প্রয়োজনীয় নথি (বিল, মানি রশিদ, চিকিৎসকের পরামর্শ, অন্যান্য ডকুমেন্ট)সহ কল্যাণ ও ঝুকিঁ কমিটির কাছে বীমার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনে খরচের বিস্তারিত হিসাব দাখিল করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর কল্যাণ ও ঝুকিঁ কমিটির পরবর্তি বৈঠকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গ. ভবিষ্যতে বীমা সুবিধা সদস্যর স্ত্রী, সন্তান ও বামা-মা যেন পান তা বিজেসির সিদ্ধান্ত ও প্রিমিয়াম পাওয়ার প্রেক্ষিতে কার্যকর করা হবে।

ঘ. সন্তান জন্ম ভাতা: দেশের কোন বীমা কোম্পানি এই সুবিধা না দিলেও বিজেসি তার সদস্যদের জন্য এককালীন ২০ হাজার টাকা সন্তান জন্ম ভাতা চালু করেছে। যা বিজেসির সকল সদস্যর জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে এই ভাতা কেবল প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় পাওয়া যাবে। ৩য় বা পরবর্তি সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বীমার সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। তবে বিজেসির কোন নারী সদস্য সন্তান জন্মের সময় অন্য কোন রোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে তা বিবেচনা করা হবে।

ঙ. কভিড ১৯ এর চিকিৎসা ব্যয় বিজেসির চিকিৎসা বীমার আওতা মুক্ত থাকবে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বিজেসির আলাদা ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

বীমা দাবি ফরমের জন্য এখানে ক্লিক করুন: insurance_claim_form

** বীমা দাবীর বিষয়ে যে কোন বিতর্ক দেখা দিলে কল্যাণ ও ঝুঁকি কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

# যোগাযোগ: বিজেসি কার্যালয়, ১৩/এ প্ল্যানার্স টাওয়ার, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামোটর, ঢাকা। ফোন +৮৮০১৭১৪০৬৩২৮২