তরুণ নৃত্য পরিচালক সুমন রহমান মারা গেছেন


তরুণ নৃত্য পরিচালক সুমন রহমান মারা গেছেন

মৃত্যুর খবরে আবারও ভারী হলো ঢাকাই শোবিজ অঙ্গন। ২০ জানুয়ারি ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তরুণ চিত্রগ্রাহক অনিমেষ রাহাত। এর ১০ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ নৃত্য পরিচালক সুমন রহমান।

মাত্র ৩১ বছর বয়সে সুমন রহমানের এমন মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও অঙ্গনে। তিন মাধ্যমেই নৃত্য পরিচালক হিসেবে গেল ক’বছর ধরে দারুণ কাজ করছিলেন এই তরুণ।

সুমন রহমানের কোরিওগ্রাফিতে সবশেষ মুক্তি পায় চয়নিকা চৌধুরীর সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’। চয়নিকা জানান, গত বছর অক্টোবরে  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন সুমন। চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থও হয়ে ওঠেন। তবে করোনা পরবর্তী আঘাত সহ্য করতে পারেননি সম্ভবত। এরমধ্যে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

কিডনির ব্যথা নিয়েই সুমন কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে শনিবার ৩০ জানুয়ারি মাঝ রাতে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। সেলাইন খেয়ে সেটি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাণ হারান সুমন।

সুমনের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ইন্ডাস্ট্রিতে তার সহকর্মীরা। অনেকেই প্রসঙ্গ টেনে আনছেন ফেসবুকে দেয়া তার একটি স্ট্যাটাসের। সড়ক দুর্ঘটনায় সদ্য প্রয়াত ক্যামেরাম্যান অনিমেষ রাহাতকে নিয়ে সুমন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ওয়ান টেক গানটা আমরা ওপারেই বানাবো...।‘ ২০ জানুয়ারি লেখা এমন পোস্টের ১০ দিনের মাথায় দু'জনেই এখন ওপারে!

‘বিশ্বসুন্দরী’ ছাড়াও সুমন রহমান নৃত্য পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ছায়াছবি’ ও ‘তারকাঁটা’, অনন্য মামুনের ‘নবাব এলএল.বি’সহ অসংখ্য টিভিসি ও মিউজিক ভিডিওতে।

সুমন রহমান ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে জড়িত ছিলেন দেশের অন্যতম আধুনিক নাচের দল ঈগল ডান্স কোম্পানির সঙ্গে।