রোজা রাখা গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ


রোজা রাখা গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

রমজান মুসলিমদের জন্য ত্যাগ এবং মহানুভবতার মাস। এই মাসে সাওম মুসলিম নর-নারীর জন্য অবশ্য পালনীয়। তবে সন্তানসম্ভবা নারীর  রোজা রাখা গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকি দুই তিন ঘন্টা পরপর একজন সন্তানসম্ভবা নারী ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করবেন। রমজানে পরিবারের অন্য সদস্যরা রোজা রাখার ফলে অনেক সময় সন্তানসম্ভবা নারীর খেয়াল রাখায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি বা তরল গ্রহণ করতে হবে। নির্দিষ্ট বোতল ভর্তি পানি রেখে শুধু সেটা থেকেই পানি খেলে খেয়াল রাখা সহজতর হয়। তিন বেলা বড় থালা ভর্তি খাবার খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে সারাদিন কী কী খাচ্ছেন সেটার একটা খসড়া তালিকা থাকলে ভালো হয়।

সন্তানসম্ভবা নারী কিছু খাবার এড়িয়ে গেলে ভালো, যেমন- আধা সিদ্ধ ডিম, ভালো করে রান্না হয় নি এমন মাছ/মাংস, বদ হজম হয় এমন শাক-সবজি, সামুদ্রিক মাছ/সামুদ্রিক প্রাণী গ্রহণ থেকে বিরত থাকাও এ সময়ে নির্দেশিত। ব্যক্তিভেদে কিছু খাদ্যে বুকজ্বালা বা গ্যাসের অসুবিধা হয়, সেগুলোর দিকে নজর রেখে সেসব খাদ্য এড়িয়ে যেতে পারেন। চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিত্যাগ করা ভালো।

অনেকেই শুনে থাকবেন সন্তানসম্ভবা নারী আনারস খেলে গর্ভপাত হতে পারে, এই কথাটি আসলে একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। টক ফলে এসিড ও ভিটামিন সি থাকে। খুব বেশি পরিমাণে না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল খাওয়া সন্তান এবং মা উভয়ের জন্য মঙ্গলকর। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এটি এড়াতে বেশি করে আঁশযুক্ত খাদ্য ও তরল গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া আমাশয় হলে বা মল ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন এলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সর্বোপরি, একজন সন্তানসম্ভবা নারী পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি নিজের প্রতি যত্নশীল হয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকলে তা পরিবারে ও সমাজে সুফল বয়ে আনবে।