করোনা থেকে বাঁচতে কি করবেন, কি করবেন না


করোনা থেকে বাঁচতে কি করবেন, কি করবেন না

দৃশ্যমান শত্রুর সাথে লড়াই করা যায়। অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াই করা কঠিন। আমরা এমনই এক যুদ্ধ ক্ষেত্রে কঠিন লড়াইয়ে আছি। মানুষ, জাতি, রাষ্ট্র সবাইকে লড়তে হচ্ছে। করোনা শত্রুকে মারার এখনও কোন অস্ত্র আবিষ্কার করতে পারেনি চিকিৎসা বিজ্ঞান। তাই আপাতত নিজেদের প্রতিরক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসকে মারা যায়না, সে শুধু পারে নিজে ধ্বংস হতে।

করোনা জীবন্ত কোন প্রাণী নয় এটি প্রোটিনের অণু। যা আবার চর্বি দিয়ে মোড়ানো।

  • এই ভাইরাস আমাদের নাক-চোখ-মুখের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে গেলে নিজের জেনেটিক কোড বদলে ফেলে শক্তিশালী ও আত্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
  • সাবান ও ডিটারজেন্ট ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হবার সহজ উপায়। সাবান ও ডিটারজেন্ট মূলত যেকোনো স্থানের তেল বা চর্বি সরাতে পারে। তেল বা চর্বি সরানোর উদ্দেশ্যে আমাদের অন্তত টানা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হয় যাতে করে প্রচুর ফেনা তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভাইরাসের উপরের চর্বির স্তর ভেঙে গিয়ে পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়।
  • গরম তাপমাত্রা চর্বি গলাতে কার্যকর। এজন্যে হাত বা কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া, সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে গরম পানি ঠান্ডা পানির চেয়ে বেশি ফেনা তৈরি করতে পারে বলে ভাইরাসটিকে আরো দ্রুত অকার্যকর করতে পারে।
  • অ্যালকোহল কিংবা অন্তত ৬৫% অ্যালকোহলের মিশ্রণ যে কোনো ধরনের তেল অথবা চর্বি ভাঙার জন্য উপযুক্ত। ভাইরাসের শরীরের বাইরের চর্বির স্তর ভাঙতে অ্যালকোহলের মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়।
  • এক ভাগ ব্লিচ ও পাঁচ ভাগ পানির মিশ্রণ সরাসরি প্রয়োগে প্রোটিন ভেঙে যায়। তাই এই মিশ্রণ ভাইরাসটিকে ভিতর পর্যন্ত গলিয়ে ধ্বংস করতে পারে।
  • সাবান, অ্যালকোহল এবং ক্লোরিন যদি অক্সিজেন চালনা করা পানির (অক্সিজেনেটেড ওয়াটার) সঙ্গে ব্যবহার করা হয় তবে তা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় ধরে ভাইরাসের কার্যক্ষমতা ঠেকাতে সাহায্য করে। এর কারণ অক্সিজেন চালনা করা পানিতে থাকা পারঅক্সাইড ভাইরাসের প্রোটিনকে গলিয়ে ফেলতে পারে। এটি বিশুদ্ধ হলে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে ত্বকের জন্য সুবিধাজনক নয়।
  • ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে যা ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবন্ত প্রাণী নয়। যা জীবন্ত নয় তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে হত্যা করার প্রশ্ন নেই। তবে আগে যা যা উপায় বলা হলো সেসব অনুসরণ করে ভাইরাসকে ভেঙে ধ্বংস করা সম্ভব।
  • ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত পোশাক, কাপড় বা চাদর ঝাড়া দেয়া যাবে না। কাপড় ঝাড়লে তা থেকে নিঃসৃত ভাইরাস কোথাও পড়লে সেখানেই আটকে থাকে। কাপড় বা সমধর্মী জিনিসে ৩ ঘণ্টা, তামা বা কাঠে ৪ ঘণ্টা (যেহেতু তামা নিজেই জীবাণু ধ্বংস করতে পারে এবং কাঠ ক্রমাগত আদ্রতা হারাতে থাকে), হার্ডবোর্ডের উপরে ২৪ ঘণ্টা, ধাতব জিনিসে ৪২ ঘণ্টা এবং প্লাস্টিকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভাইরাসটি টিকে থাকতে পারে। ভাইরাস আছে এমন কিছুকে ঝাড়া দিলে বা তার উপরে পালকের ডাস্টার ব্যবহার করলে ভাইরাসের অণুগুলো বাতাসে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ভাসতে পারে এবং মানুষের নাকে ঢুকে যেতে পারে।
  •  ভাইরাস অণুগুলো ঠান্ডা আবহাওয়ায়, এমনকি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়ি বা গাড়িতে অত্যন্ত ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে। বেশি কার্যকর থাকার জন্য ভাইরাসটির আর্দ্রতা এবং অন্ধকারের উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে একদিকে শুকনো বা কম আর্দ্রতা বিশিষ্ট আবহাওয়া, অন্যদিকে, গরম এবং উজ্জ্বল পরিবেশে ভাইরাসটি দ্রুত ধ্বংস হয়।
  • ইউভি লাইট ভাইরাসটিকে তার প্রোটিন ভেঙে যে কোনো কিছুর উপর থেকে ধ্বংস করতে পারে। এভাবে একটি মাস্ককে ব্যবহারের পর ভাইরাসমুক্ত করে আবারো ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ইউভি লাইট যেহেতু ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয় তাই মুখে বলিরেখা থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
  • ভাইরাসটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক ত্বকের ভিতরে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না।
  • করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে ভিনেগার কার্যকর নয় কারণ ভিনেগার প্রোটিন ধ্বংস করতে পারে না।
  • স্প্রিট ভাইরাসটি ধ্বংস করতে কার্যকর নয়। ভাইরাসটি ধ্বংস হতে কমপক্ষে ৬৫% অ্যালকোহল দরকার।
  • করোনা ধ্বংস করে, অ্যালকোহলসমৃদ্ধ এমন কিছুর কথা ভাবলে একমাত্র বলা যেতে পারে কোনো কোনো লিসটারিনের (মাউথওয়াশ) কথা যাতে ৬৫% অ্যালকোহল থাকে। তবে বেশিরভাগ লিসটারিনে থাকে ২০% থেকে ৩০% অ্যালকোহল যা ভাইরাসটি ধ্বংসে কার্যকর নয়।
  • বদ্ধ স্থানে ভাইরাসটির প্রকোপ বেশি হবে। উল্টোদিকে উন্মুক্ত এবং বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে ভাইরাসের উপস্থিতি কম হবে।
  • এটা অবশ্য অনেকবার বলা হয়েছে, তবু আরেকবার বললে ক্ষতি নেই যে, নাক, খাবার, দরজার লক, যে কোনো সুইচ, রিমোট কন্ট্রোলার, সেল ফোন, ঘড়ি, কম্পিউটার, টেবিল ও টেলিভিশন জাতীয় জিনিস ধরার আগে ও পরে হাত ধোয়া জরুরি। ওয়াশরুম ব্যবহার করলে হাত তো ধুতে হবেই।
  • বারে বারে ধোয়া হাত ভালোমতো শুকাতেও হবে। কারণ ত্বকের যে কোনো ফাটলে ভাইরাস লুকিয়ে থাকতে পারে। ত্বকআর্দ্রতাকারী লোশন বা ক্রিম যত ভারি ও তৈলাক্ত হয় তত ভালো।
  • হাতের নখ ছোটো করে কেটে রাখা উচিত যেন তাতে ভাইরাস ঢুকে থাকতে না পারে।

অনেকে আবার অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য বাড়তি বাড়তি কাজ করছেন সেটিও ঠিক নয়। বরং ক্ষতিকর।

ব্লিচিং পাউডারের সাথে ডেটল বা স্যাভলন মিশিয়ে লিকুইড বানাচ্ছেন। এটা উচিত নয়।

করোনাকালীন সময়ে ব্লিচিং পাউডার (ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট) সবচেয়ে পরিচিত এবং সহজলভ্য জীবানুনাশক।

কিন্তু অনেকের মনে হতে পারে, ব্লিচিং পাউডারের সাথে অন্য যেকোন পরিষ্কারক (ডেটল,স্যাভলন)কিংবা জীবানুনাশক(স্যানিটাইজার) মিশিয়ে নিলে এর শক্তি বাড়তে পারে। হয়ত আরো বেশি জীবানু ধ্বংস হবে। এই ক্রান্তিলগ্নে এটা একেবারেই স্বাভাবিক একটি চিন্তা।

কিন্তু না!

এটা করবেন না।

ব্লিচিং পাউডারের সাথে যে কোন পরিষ্কারক বা জীবানুনাশক মেশালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয়। আর ক্লোরিন গ্যাস যা মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই চোখ, ন্যাজাল প্যাসাজ (নাক) এবং ফুসফুসকে মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে কেউ যদি মাত্র ৩০ সেকেন্ডও এই গ্যাস নিশ্বাসের সাথে গ্রহণ করে তবে তার ফুসফুস স্বাভাবিক হতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এই বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুসে ঢোকার সাথে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অক্সিজেন নেয়া বন্ধ করে দিবে।

এমনকি ভিনেগার (সিরকা) ও মেশানো যাবেনা ব্লিচিং পাউডারের সাথে।

স্বল্প পরিসরে কয়েকটি বিক্রিয়া দেয়া হলো-

  • ব্লিচিং পাউডার + সেনিটাইজার (Rubbing alcohol) = বিষাক্ত ক্লোরোফরম
  • ব্লিচিং পাউডার + ভিনেগার = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস
  • ব্লিচিং পাউডার + গ্লাস ক্লিনার (Ammonia) = ক্লোরো-অ্যামিন ( যার জন্য শ্বাসকষ্ট ও বুকব্যথা হতে পারে)
  • হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড + ভিনেগার = পার-অক্সি-এসিটিক এসিড (ক্ষয়কারক)
  • ব্লিচিং পাউডার + হারপিক = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস

কোন রাসায়নিক দ্রব্যাদিকেই সাধারণভাবে নেওয়া যাবেনা। না জেনে করা ছোট কোনকিছু থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় রকমের দূর্ঘটনা।

দেশের অর্থনীতিকে সচল করার জন্য লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। এখন নিজের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। ব্যক্তিগত লকডাউন মেনে চলতে হবে শক্তভাবে।

  • কাউকে গায়ের কাছে ঘেঁসতে দেবেন না।
  • আগামী অন্ততঃ ৬ মাস আরো দ্বিগুণ সাবধান হোন।
  • ৩.মাস্কের সাথে ফেস্ শিল্ড ব্যাবহার করুন। বাইরে বেরোলে, খুব কার্যকরী।
  • পকেটে সবসময় স্যানিটাইজার- প্রতি আধঘন্টা বা এক ঘন্টায় হাত ঘসুন।
  • মোবাইলটি একটি পলিথিনে রাখুন- মোবাইল প্রধান Fomite হতে পারে- fomite এর মানে কী? গুগোল করুন।
  • হেডফোন- না! কারণ এতে জীবাণু লেগে থাকতে পারে।
  • স্পিকার মোডে কল রিসিভ- হ্যাঁ! মোবাইল কানের কাছে নিয়ে কল রিসিভ থেকে বিরত থাকুন।
  • পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভিড় এড়ান, এটা সবথেকে রিস্কি জায়গা।
  • বাড়ির বাইরে খাওয়া এড়ান, শুকনো high calorie snack যেমন বাদাম, শুকনো ফল অল্প রাখুন সাথে, নিজের Water তো বটেই।
  • কাজে খাবার বা Water শেয়ারিং বন্ধ করুন।
  • অপ্রয়োজনীয় লোকসমাগম এড়িয়ে চলুন।
  • বাইরে থেকে বা বাজারে পাওয়া টাকা নোট আলাদা পলিথিনে আনুন – এনে পারলে দুদিন একটা ট্রেতে রেখে দিন খোলা হাওয়াতে।
  • যেখানে সেখানে হেলান দেওয়া , বসা, কনুইয়ে ভর দেওয়া- ভুলে যান।
  • একটা ক্যাপ মাথায় থাকলে ভালো, মহিলাদের ক্ষেত্রে ওড়না।
  • কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বেরোন- যা প্রায় ধোয়া যাবে- লেদার বা মোটা ক্যানভাসের ব্যাগের ফ্যাশন বাদ দিন।
  • ঘড়ি- না! আংটি- না! জুয়েলারী- না!
  • পাবলিক ওয়াশরুম- বুঝে শুনে!
  • মাস্ক রোজ চেঞ্জ হবে- অথবা প্রতিদিন ধুতে হবে।
  • গ্লাভস প্রয়োজন নেই, যদি বারবার হাত ধুতে পারেন- বরং গ্লাভস এ জীবানু লেগে থাকার রিস্ক বেশি, তবে স্বল্প সময়ে অধিক কাজ করার ক্ষেত্রে গ্লাভস পড়া উত্তম।

নিজের মধ্যে আরও কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে।

  • কথায় কথায় মুখে আঙুল দেয়া, কলমের মুখ কামড়ানো,  আঙুল জিহ্বায় লাগিয়ে কাগজ উল্টানো, থুতু দিয়ে টাকা গোনা ইত্যাদি যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সাথে মাস্ক পড়তে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। ২০০৩ এ জাপানে সার্স ভাইরাসের মহামারির পর তাদের মধ্যে এই অভ্যেস গুলা গড়ে উঠেছিল, যা আজ খুব ভাল কাজ করতেসে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে। ধূমপান যথাসম্ভব পরিহার করুন।
  • আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমরা এমন পরিবেশে আছি। নয়ত এই ঘনবসতি দেশ কবেই শেষ হয়ে যেত। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা খুব ভাল কাজ করছে। আর্দ্রতা বেশি থাকা মানে বাতাসে ধুলাবালি কম উড়বে। শীতে আর্দ্রতা কম থাকে, চারিদিক শুষ্ক থাকে বলে বেশি ধুলা ওড়ে। এজন্য শীত প্রধান দেশে এই ভাইরাস হানা দিয়েছে বেশি। তাই ঠান্ডা এসি এভোয়েড করতে হবে, এসি রুমের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়।
  • হার্ড ইমিউনিটির বিকল্প নাই। আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। সেটা কিভাবে?

শারীরিক ও মানসিক:

  • নিয়ম মাফিক ঘুমাতে হবে, রাত জাগা খুব খারাপ শরীর ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
  • প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, প্রায় ১৫-৩০ মিনিট। মাসল এক্টিভিটি বাড়াতে হবে।
  • প্রায়ই রোদে ঘুরতে হবে ছাদে। রোদ দরকার, ভিটামিন ডি লাগবেই।

খাবার:

  • ভাত কম খেয়ে তরকারি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • প্রচুর পানি খেতে হবে
  • এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। শাক সবজি খেতে হবে।
  • ভিটামিন সি বা টকযুক্ত ফল, কমলা, লেবু খেতে হবে। এছাড়াও সিজনাল ফল খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে লেবু সেদ্ধ গরম পানি খান।
  • ফাস্ট ফুড টোটালি অফ, চিনি কিংবা লবন খাওয়াও কমাতে হবে।
  • মশলা দারুন কাজের।  লং, লবঙ্গ, জিরা, হলুদ, দারুচিনি এই গুলা মারাত্মক ভাবে ইমিউনিটি বুস্ট করে। দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবেন, হলুদ অনেক কাজের। চায়ে মশলা মিশিয়ে খাবেন। গ্রিন টি (এন্টিঅক্সিডেন্ট) বেস্ট,  গ্রিন টি তে এই মশলা গুলা খেলে অনেক ভাল।
  • কালিজিরা কার্যকরী একটা জিনিস। প্রতিদিন সকাল বেলা উঠে এক চামচ মধুর সাথে কালিজিরা অনেক বেটার একটা কম্বিনেশন। এছাড়া কালিজিরা ভর্তা/ভাজি  খাবারের সাথেও খেতে পারেন।

মানসিক:

ইমিউন শক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক হরমোনাল ব্যালেন্স রাখা খুব জরুরি। তাই মনকে শান্ত রাখতে হবে, হাসি-খুশি থাকতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনায় মন দিন, মন সুন্দর থাকবে।

লেখক: ট্রাস্টি, বিজেসি; সিনিয়র নিউজ এডিটর, মাছরাঙা টেলিভিশন।