‘আল জাজিরার প্রতিবেদন সরিয়ে নিতে গুগল ও ফেসবুক বাধ্য নয়’


‘আল জাজিরার প্রতিবেদন সরিয়ে নিতে গুগল ও ফেসবুক বাধ্য নয়’

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামের রিপোর্টটি সরিয়ে ফেলতে গুগল ও ফেসবুককে দেয়া বিটিআরসির আবেদন মানতে আইনগতভাবে বাধ্য নয় প্রতিষ্ঠান দুটি। একথা জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসি।

খবর বিবিসির। 

তবে বিটিআরসি বলছে, আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও একটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, "ওইভাবে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে তাদের একটা কোড অব কন্ডাক্ট আছে। কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড আছে।"

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরা ওই প্রতিবেদনটি সম্প্রচার করে। আর গেল বুধবার হাইকোর্ট সেই প্রতিবেদন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম থেকে দ্রুত সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন।

সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, যেহেতু গুগল বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে বাংলাদেশের কোন আইনি চুক্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই, এজন্য তাদের অনুরোধ করা হবে তারা যাতে আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। তবে বিটিআরসির অনুরোধে যদি এই দুটি সংস্থা কোন সাড়া না দেয় সেক্ষেত্রে সরকার এবং আদালতের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, "যেহেতু আমাদের সেই কারিগরি সক্ষমতা নেই এগুলো বন্ধ করার, সেহেতু বাধ্য হয়ে আমরা তাদের অনুরোধ জানাবো।"

এ বিষয়ে বিটিআরসির পক্ষ থেকে আইনি বিষয়গুলোর দায়িত্বে থাকা আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, আদালত তার নির্দেশনায় বিটিআরসিকে বলেছে যে, তার আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করে এবং প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবেদনটি নামিয়ে নিতে হবে।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত টুইটার, ইউটিউব বা ফেসবুকের কোন বিষয় সম্পর্কে আদালতের নির্দেশনার পর তা নামিয়ে নিয়েছে বিটিআরসি। এক্ষেত্রেও সেটাই হবে বলে ধারণা করছেন অ্যাডভোকেট রাকিব।

এ বিষয়ে কর্পোরেট আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ ফারুক বলেন, “নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিটিআরসি-কে, কোন প্রতিষ্ঠানকে নয়। তাই এটা মানা না মানার প্রশ্নটি আসে না। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এই কন্টেন্ট বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। আর আইন অনুযায়ী বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো অপরাধ।“

তিনি জানান, বিটিআরসি টেক ডাউন রিকোয়েস্ট বা সরিয়ে নেয়ার আবেদনের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা গুগল এবং ফেসবুককে জানানোর পরও যদি সেটি থাকে তাহলে সেটি বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হবে।