সামাজিক হীনমন্যতা এবং সুমন বেপারী


সামাজিক হীনমন্যতা এবং সুমন বেপারী

‘ভাইকে নিয়ে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। যে যা বলার বলুক। আল্লাহর রহমতে ভাই বেঁচে ফিরেছে, এতেই শুকরিয়া। সবার কাছে দোয়া চাই, আমার ছোট ভাই সুমন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কষ্ট পাই, যখন ভাইয়ের এই বেঁচে ফেরা নিয়ে অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এমনকি আমাদের পরিবারকে নিয়েও নানা বাজে মন্তব্য করা হয়। তখন মনে হয়, তাহলে কি আমার ভাই সুমনের বেঁচে ফেরাটা অন্যায় হয়েছে? অপরাধ হয়েছে?’

এ প্রশ্ন সুমন বেপারীর ভাই শাহীন বেপারীর। সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় প্রায় ১৩ ঘন্টা জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বেঁচে ফিরেন সুমন বেপারী।

সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ‘ময়ুর-২’ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ‘মর্নিং বার্ড’ নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার দিন, রাত সোয়া দশটায় টেলিভিশন লাইভে দেখা যায় ঘটনার প্রায় ১৩ ঘন্টা পর একজনকে উদ্বারের দৃশ্য। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কোস্ট গার্ড, ডুবুরীসহ উদ্ধার কর্মীরা ব্যস্ত তিনি জীবিত আছেন কি না তা পরখ করতে।

অনুসন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পরেন কর্তব্যরত সাংবাদিকরা। উদ্ধারকারি ডুবুরি দলের সদস্য আবু ইউসুফ জানান, ডুবে যাওয়ার পর পানির নীচে অনেকটা উল্টো হয়ে পরে ছিলো মর্নিং বার্ড। একটি কলস হটাৎ পানিতে উপুড় করে দেওয়া হলে এর ভেতর কিছু বাতাস থেকে যেতে পারে। মর্নিং বার্ডের ডুবে যাওয়াকে এমন একটি ঘটনার সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, হয়তো ভেতরের সেই বাতাসেই তের ঘন্টা পানির নীচে বেঁচে ছিলেন সুমন বেপারী।

এমন বক্তব্যেও সন্দেহ কাটেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মেলেছে গুজবের ডালপালা। সব শেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে খবর হয়েছে ,হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন সুমন। তবে শনিবার বিকেলে সুমন বেপারী বলছেন, ‘আমি হাসপাতাল থেকে পালাইনি। এখনো হাসপাতালের বেডেই শুয়ে আছি।’

শরীর দুর্বলতা, মাথা ঘোরা এবং কানের কিছু সমস্যা নিয়ে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ভবনের ৮ নম্বর ইউনিটের ১৪ নম্বর বেডে চিকিৎসা