মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রযোজনা কর্মশালা
২২ নভেম্বর ২০২০, ১০:৪৪ পিএম

ব্রিটিশ হাই কমিশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে ফ্রেন্ডশিপ এডুকেশন সোসাইটি (বিএফইএস)’এর সহযোগীতায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বাংলাদেশ বিজেসির প্রকল্প ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’। প্রকল্পের আওতায় দেশের সম্প্রচার গণমাধ্যমে গুণগত পরিবর্তন সাধনে নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে সম্প্রচার গণমাধ্যমের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সাথে নীতি সংলাপ এবং কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন ছিলো অন্যতম।
নভেম্বর ৩০, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় প্রযোজনা কর্মশালা। যেখানে দেশের প্রায় সবগুলো টেলিভিশন থেকে অংশগ্রহন করেন ৩০জন সিনিয়র বার্তা প্রযোজক ও সিনিয়র ভিডিও এডিটর। প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিভি, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ড. শফিউল আলম ভূইয়া, বিজেসি ট্রাস্টি ও প্রধান সম্পাদক গাজী টিভি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, চিফ প্ল্যানিং এন্ড কনটেন্ট এডিটর একাত্তর টেলিভিশন নূর সাফা জুলহাজ, বিজেসি ট্রাস্টি ও ডেপুটি হেড অব নিউজ আরটিভি মামুনুর রহমান খান, বিজেসির সদস্য সচিব ও হেড অব নিউজ একাত্তর টেলিভিশন শাকিল আহমেদ, টেলিভিশন ব্যাক্তিত্ব শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল এবং একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মিল্টন আনোয়ার।
বিজেসি’র এই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রযোজনা কর্মশালা রাজধানীর তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকার বেঙ্গল স্কয়ার মিলনায়তনে শুরু হয় সকাল ১০টায়। প্রথমেই অংশগ্রহন কারিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিজেসি ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন বিজেসি ট্রাস্টি ও ডেপুটি হেড অব নিউজ আরটিভি মামুনুর রহমান খান। এসময় টিভি মিডিয়ার বর্তমান প্রেক্ষাপট, সমাধানের পথ ও সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে নানা আলোচনা উঠে আসে। এছাড়া অংশগ্রহকারীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ফরমাল সেশনের প্রথমেই ড. শফিউল আলম ভূইয়া।
সিনিয়র বার্তা প্রযোজক ও সিনিয়র ভিডিও এডিটরদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবিস্তার আলোচনা করেন তিনি। বলেন, টেলিভিশন কে বোকা বাক্স বলা হয়। কারণ টিভি দেখতে আলাদা কোন যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে ছবি প্রচারের ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রয়োজন। রানা প্লাজা, বিডিআর বিদ্রোহ, হলি আর্টিজানের মত ঘটনাগুলোতে আমাদের সম্প্রচারে আরও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন ছিলো। দুর্ঘটনা ঘটার পর বিষয়টির প্রকাশভঙ্গি যেন দূর ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে টেনে না নেয় এটিই সাংবাদিকতার নীতি। উন্নত ও দীর্ঘ গণতন্ত্রের ইতিহাস যেসব দেশে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়টি লক্ষ্য করলেই এইসব বিষয়ে সঠিক করণীয়টি কি তা বোঝা যায়; যোগ করেন ড. শফিউল আলম ভূইয়া। এসময় অংশগ্রহকারীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পরের পর্বে বিজেসি ট্রাস্টি ও প্রধান সম্পাদক গাজী টিভি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
গুজব প্রতিরোধ এবং সম্প্রচার মাধ্যমের দায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। বলেন, গুজব প্রধানত দুই ভাবে ছড়ায়। প্রথমত ইনটেশনাল বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে। দ্বিতীয়ত অবচেতন বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে। গুজব সনাক্তের কিছু সহজ উপায়ও আছে। যেমন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া গুজবের শিরোনামগুলো ফলস(মিথ্যা) এবং ক্লিক টাইপ হয়ে থাকে। আবার স্যাটায়ার অনেক সময় গুজবের সৃষ্টি করে। যেমন সুবোধ একটি স্যাটায়ার। সেটা নিয়ে পরে এমন নিউজও হতে দেখা গেছে, যে সুবোধ নিখোঁজ, পুলিশ খুজছে। তাই রিপোর্ট দেখার ক্ষেত্রে সবার আগে জানতে চাওয়া উচিত নিউজটি কে করেছে? বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা কী দেওয়া হয়েছে? সংবাদটির তারিখ কি ঠিক আছে? অনেক সময় আগের নিউজ বর্তমান প্রেক্ষাপটে মিলিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এভাবেও গুজব ছড়ায়।
সেশন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার কর্মীদের ভাবনা” মিল্টন আনোয়ার, সিনিয়র রিপোর্টার, একাত্তর টেলিভিশন
বাংলাদেশের সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া থাকলেও নানা করণেই তা বাধাগ্রস্থ এবং গণমাধ্যম এর শিকার। সম্প্রচার গণমাধ্যমের উপর এই বিধিনিষেধ আরো জোরালো। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সম্প্রচার মাধ্যমের বাধা প্রধানত দুই প্রকারের। প্রথমত: চাকুরির নিরাপত্তার, দ্বিতীয়ত: আইনী ও অন্যান্য বাধা। বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য আলাদা কোন চাকুরি ও নিয়োগ বিধি নেই। আইন অনুযায়ি গণমাধ্যমকর্মীরা আর দশটা শ্রমিকের মতো। তবে সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে আলাদা বেতন কাঠামোসহ দু একটি বিশেষ সুবিধা আছে যা আবার সম্প্রচার মাধ্যমে অনুপস্থিত। আলাদা বেতন কাঠামো না থাকা ও নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রচলিত আইন না মানার কারণে সম্প্রচার মাধ্যমে অকারণে, অসময়ে ও অন্যায্য ভাবে চাকুরিচ্যুতি নৈমিত্তিক ঘটনা। চাকুরির ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।
সংবিধান বলছে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা যাবে, কিন্তু বেশ কিছু আইন বলছে উল্টোকথা। সর্বশেষ প্রনীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, আদালত অবমাননার ধারণা ও সরকারি চাকুরিবিধি মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শ্বাস্তিযোগ্য অধিকাংশ বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ফলে আদতে কোথায় কীভাবে আইনের লংঘন হচ্ছে তা অনুধারবন করা দুরহ। এই আইনে গণমাধ্যমের জন্য বিশেষ সুরক্ষার দাবি জানানো হলেও সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা মানেনি। গেল কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকে এই আইনে কারাভোগ করতে হয়েছে যা উদ্বেগ ও ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতেও গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ নিয়মিত ঘটনা। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল প্রায় সকলেই গণমাধ্যম সম্পর্কে অসহিষ্ণু আচরণ করেন। গেল দুই দশকে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনাগুলার একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এটিও বড় বাধা।
সেশন, “মত প্রকাশ এবং কি দেখবো কি দেখাবোনা” নুর সাফা জুলহাস, চিফ প্ল্যানিং এন্ড কনটেন্ট এডিটর একাত্তর টিভি
চিন্তা থেকে দৃশ্যমান চিত্র। এটিই প্রযোজনার কাজ। কিন্তু এমন একটা সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি যখন দেশের অধিকাংশ টিভি একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে কঠিন লড়াই করছেন প্রডিউসার, এডিটর, রিপোর্টার সহ সবাই। এর মধ্যেও নলেজ বেজড প্রডাকশন করতে হচ্ছে, করে যাচ্ছি এবং করে যাবো। কিন্তু কেন আমাদের অনুষ্ঠানে আগ্রহ হারাচ্ছেন দর্শক। মানুষ কি দেখতে চায়? সে বিষয়ে আমরা যারা পেশাটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছি তাদের মনযোগ প্রয়োজন। আইডিয়ার সাথে বাজেট ব্যাবস্থাপনা কিভাবে আরও প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ করা যায় সেটাও ভাবতে হবে। এখন আমাদের ম্যানেজমেন্ট যদি প্রফেশনাল না হয়ে থাকে তারপরও আমারা যদি প্রফেশনাল হয়ে যাই তাহলে আমরা একটা কাজ করতে পারি! এখন থেকে প্রতিটি প্রপোজালে টার্গেট অডিয়েন্স, রিসার্চ, এসব বিষয় জুড়ে দেই। একদম রেজুলেশন করে এই কাজটি করতে থাকি। যাতে ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে পরে। আমি প্রডিউসার হিসেবে কেমন? এই প্রশ্নটি করুন। দক্ষ প্রযোজক হতে গেলে;
১/ আপনাকে চিন্তায় সাংবাদিক হতে হবে
২/ স্ক্রিনকে লিখতে জানতে হবে।
৩/ প্রডাকশন লিখতে হবে
৪/ প্রমোশন লিখতে জানতে হবে
৫/ টিম লিডার
৬/ রিসার্চার হতে হবে
৭/ সমাজের মূল্যবোধ জানতে হবে
কিন্তু বাস্তবতা হল এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে চলছি যখন আমরা পড়ি কম, দেখি বেশি। তাই চিন্তার ক্ষমতাও কমে আসছে। আর এটিই মূলত সৃজনশীল চিন্তা ও কর্মের অন্তরায়।
সেশন, “মত প্রকাশে পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কথা” শাকিল আহমেদ, বিজেসির সদস্য সচিব ও হেড অব নিউজ একাত্তর টেলিভিশন
এই মূহুর্তে সমাজের সবচেয়ে বড় সংকট কি?
অংশগ্রহকারীদের অনেকের উত্তর বিশ্বাসের অভাব, মত প্রকাশে বাঁধা এবং বৈষম্য
কিন্তু শাকিল আহমেদ মনে করেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট হল “ঘৃণা “…
বলেন, মিডিয়ার রোল হচ্ছে এমন একটা সাম্যের সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করা যেন, যে যার মত চিন্তার, মতের, প্রকাশ করতে পারেন। জাতিগত বিদ্বেষ এটিই বর্তমান সমাজের ক্রাইসিস। এখানে আমাদের (সম্প্রচার সাংবাদিক) রোল আছে। আমরা জাতিকে যা দেখাবো তাই তারা দেখবেন। আমাদের ভাবতে হবে ম্যাজরিটি ক্রাইসিস একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে কিনা! সেখানেও কাজ করতে হবে। সঠিক ছবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রডিউসারের ভূমিকা অনেক। একটি স্টোরি করার ক্ষেত্রে সেই খবরদারি করার অধিকারটুকু প্রডিউসারের আছে। তবে অন্যান্য নানা দায়িত্বের চাপে সেই কাজটি করা হয়ে ওঠে না। তথ্য ও অনুষ্ঠানটির মান উন্নয়নে সেই কাজ এখন করতেই হবে। এসময় অংশগ্রহকারী সিনিয়র বার্তা প্রযোজক ও সিনিয়র ভিডিও এডিটররা নানা মন্তব্য ও প্রশ্ন তুলে ধরেন।
জিটিভির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার মনিরুজ্জামান তুহিন; স্টোরিতে প্রডিউসাররা হাত দিলে রিপোর্টাররা নানা অজুহাত দেখান সেক্ষেত্রে প্রডিউসারদের মত প্রকাশের সুযোগ কোথায়?
জবাবে শাকিল আহমেদ জানান; বিজেসি এমন ভাবে কাজ করতে চায় যেন সব পক্ষই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সঠিক ভূমিকাটি রাখতে পারে। এজন্য পর্যায়ক্রমে সম্প্রচার মাধ্যমে জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য পৃথক পৃথক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
যমুনা টিভির সিনিয়র প্রডিউসার বাপি নিজের মন্তব্য জানাতে গিয়ে বলেন, আমার মনে হয় আমাদের প্রডাকশন খুব ভাল হচ্ছে না। আমাদের মেধা আছে কিন্তু বাজেট কম থাকায় তা করা যাচ্ছে না। রিসার্চেরও অভাব রয়েছে। মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের নির্মাণে নতুনত্ব আসছে না।
এই সমস্যা নিরসনে দেশের মিডিয়ায় বাস্তব সম্মত ও যৌক্তিক পরিকল্পনা প্রনয়ন এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন শাকিল আহমেদ। বিভিন্ন টপিকের জন্য যেমন আলাদা টিভি দরকার তেমনি এখন কিন্তু দর্শকদের বয়স অনুযায়ীও বিভিন্ন টিভি ডিজাইন করা প্রয়োজন, যোগ করেন তিনি।
পরের সেশনে টেলিভিশন ব্যাক্তিত্ব শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম
অনেক প্যাকেজ স্টোরি হচ্ছে। অনেক কাজ কর্ম হচ্ছে প্রতিদিন। এর কতটি স্টোরি আমরা মনে রাখছি, রাখতে পারছি। কেন এযুগের রিপোর্ট গুলো মানুষের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারছে না! স্টোরি করার ক্ষেত্রে আসলে আরেকটু সতর্কতা প্রয়োজন। প্রতিটি স্টোরি শুরু হওয়া উচিত বেস্ট ছবিটি দিয়ে। আর শেষ হওয়া উচিত দ্বিতীয় বেস্ট ছবি দিয়ে। এমবিএমস এর ব্যবহার হওয়া উচিত। কারন এটিই ছবিকে জীবন্ত করে তোলে।
সেশনের শেষ বক্তা টেলিভিশন ব্যাক্তিত্ব হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
আপনি আগে ঠিক করুন, আপনি যে কাজটি করছেন সেটার জন্য এই টাকা পাবেন এবং কাজটি করবেন। তবে প্রতিটি অনুষ্ঠানে এখন আমি আপনাদের মানসিক অস্থিরতার ছায়া পাই। একবার ভাবুন আমরা প্রিয়জনকে যখন ভালবাসি তখন কিন্তু সততার সাথেই ভালবাসি, সন্তানের হাতটি যখন ধরি তখন কিন্তু সততার সাথেই ধরি। তাই এই একটি কাজ আসুন আগে সেট করি। যে ছবিটি দেখাচ্ছেন মনে করুন সেটি আপনার মা, বাবা, ছেলে মেয়ে দেখছেন তারপর কাজটি করুন। আপনার সংস্কৃতি, বিশ্বাস, করণীয় এসব ঠিক করে ফেলুন কাজ ঠিক হয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন জনাব রেজওয়ানুল হক রাজা বিজেসির সন্মানিত চেয়ারম্যান
চাকরির পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওয়েলফেয়ার নিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা উন্নয়ন আমাদের উদ্দেশ্য। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাদের চাকরি চলে গেছে তাদের ন্যায্য পাওনা যেন তারা পান। সেজন্য মালিক পক্ষ ও সরকারের সাথে দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কার্যকর ভাবে এই সমস্যার সমাধানে আসলে ইউনিয়নের সাথেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। কর্মিদের পেশাগত দক্ষতা অর্জন, ঝুঁকি মোকাবেলা এবং গবেষনা-উন্নয়নে কাজ করে যাবে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বাংলাদেশ (বিজেসি) ।
মিডিয়া পাঠ এর আরও লেখা

আরও প্রভাবশালী রিপোর্ট তৈরির ৭টি উত্তম চর্চা

অনলাইনে অনুসন্ধানের জন্য দৃশ্যের মতো করে ভাবা কেন জরুরি

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য মৌলিক ৫টি পরামর্শ

ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য প্লাটফর্মে সংবাদের ভিউয়ার বাড়ানোর টিপস

মহামারি-পরবর্তী সময়ে ৫ ধরণের ডেটাভিত্তিক স্টোরির আইডিয়া

ফেসবুকে সংবাদ প্রকাশের সময় যা মনে রাখা দরকার

সাংবাদিকদের জন্য অনলাইন সুরক্ষার টিপস
