অনলাইনে অনুসন্ধানের জন্য দৃশ্যের মতো করে ভাবা কেন জরুরি


অনলাইনে অনুসন্ধানের জন্য দৃশ্যের মতো করে ভাবা কেন জরুরি

ছবি : সংগৃহীত

 

অনেক রিপোর্টারই জানেন, একটি শব্দ বা বাক্যকে উদ্ধৃতিচিহ্নের ভেতরে রেখে গুগল সার্চ করলে, সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়।

 

কিন্তু অনলাইন সার্চের এমন আরো কিছু কৌশল আছে যা খুব কম রিপোর্টারই জানেন। যেমন, একজন ব্যক্তি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করার সময় বড় হাতের অক্ষরে AROUND শব্দটি লিখে সার্চ করা।

 

ভিজ্যুয়াল সার্চ অ্যান্ড ভেরিফিকেশন শীর্ষক জিআইজেএন ওয়েবিনারে অনলাইনে সার্চের এমন বেশ কিছু “কৌশল” আলোচনা করেছেন ওপেন সোর্স রিপোর্টিং বিশেষজ্ঞ হেঙ্ক ফন এস। এই ওয়েবিনারে ৮৫টি দেশ থেকে ৪৮৭ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

 

ফন এস বলেছেন, এই ধরনের গবেষণার জন্য দরকার হয় নতুন ধারার সার্চ-ভাবনা, এবং তার সাথে কম্পিউটারের যুক্তি, দৃশ্যায়ন বা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, জানা জিনিস সার্চ থেকে বাদ দেয়ার কৌশল ও ধৈর্য্য ধরে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া। অনলাইন অনুসন্ধান বিষয়ক ওয়েবিনারটি ছিল গত ডিসেম্বরে জিআইজেএন আয়োজিত দুটি ডিজিটাল ইভেন্টের প্রথম পর্ব। পরের ওয়েবিনারে তিনি দেখিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য খোঁজার কলাকৌশল।

 

তিনি মনে করেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা এমনিতেই কনসেপচুয়াল বা ধারণাগত চিন্তায় দক্ষ; এর সাথে যদি যোগ করা যায়, অনলাইনে সার্চের প্রশ্নটিকে মৌলিক উপাদানে ভেঙ্গে ছোট করে আনা, এবং “ভিজ্যুয়াল থিংকিং”, তাহলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। (ভিজ্যুয়াল থিংকিং হলো, মনের ভেতরে একের পর এক ছবি সাজিয়ে, শব্দগুলোকে ভাবা। অর্থ্যাৎ, আপনি যা খুঁজছেন, তাকে ছবিতে কল্পনা করে, তারপর ছবিগুলোকে সাজিয়ে নেয়া।)

 

তিনি বলেছেন, “কিছু সূত্র ব্যবহার, তাদের সঙ্গে রিভার্স ইমেজ সার্চ যুক্ত করা, এবং ভিজ্যুয়াল ভাবনার মাধ্যমে, গুগলে আপনার অনুসন্ধান পেতে পারে নতুন মাত্রা।”

 

ছবি : সংগৃহীত।

এরকম কোনো রহস্যময় ছবি বা ভিডিও সম্পর্কে আরো জানতে হলে, যে প্ল্যাটফর্মে সেটি পেয়েছেন সেটি বাদ দিয়ে গুগলে সার্চ করার পরামর্শ দিয়েছেন ফন এস। যেমন, নেদারল্যান্ডস পুলিশের এই ভিডিওটির আদি উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য ফন এস গুগলে সার্চ করেছেন ইউটিউব বাদ দিয়ে। এজন্য তিনি ব্যবহার করেছেন এই অপারেটরটি: -site:youtube.com.

 

এরকম সার্চ-ভাবনাকে উস্কে দিতে কিছু ওপেন সোর্স টুল তৈরিতে সাহায্য করেছেন ফন এস। যেমন, হু পোস্টেড হোয়াট। এটি দিয়ে আপনি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে অনেক অ্যাডভান্সড ফিল্টার ব্যবহার করে সার্চ করতে পারবেন।

 

কাঙ্ক্ষিত তথ্য বা নথিপত্র খুঁজে পেতে সুনির্দিষ্টভাবে সার্চ করতে জানা জরুরি। এর পাশাপাশি ছবির মতো করেও ভাবতে হবে। এজন্যে আগেই ঠিক করে নিতে হবে – আপনি কী জানতে চান, জানা জিনিস কিভাবে বাদ দেবেন, এবং কিভাবে সবচে যৌক্তিক পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি খুঁজে বের করবেন। তা করতে গিয়ে আপনাকে ছবি ব্যবহার করেও সার্চ করতে হতে পারে।

 

সার্চে পাওয়া যাবে এমন নিশ্চিত শব্দগুলো দিয়ে খোঁজ করুন। ধরুন, আপনি কারো সাক্ষাৎকার খুঁজছেন। এখন যদি সেই ব্যক্তির নাম ও “সাক্ষাৎকার” শব্দটি লিখে সার্চ দেন, তাহলে হয়তো কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন না (যদি না সেখানে “একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার…” বা এজাতীয় কিছু লেখা থাকে)। বরং, এমন কিছু দিয়ে খোঁজ করুন যা আপনি নিশ্চিতভাবে জানেন যে, সেখানে আছে। যেমন, “অ্যানা কগ” নামের কারো সাক্ষাৎকার খুঁজে পাওয়ার জন্য খোঁজ করুন “কগ বলেছেন” এবং “আমি”; এই দুই শব্দ দিয়ে। দুটি শব্দই রাখুন উদ্ধৃতিচিহ্নের মধ্যে।

 

উদাহরণ থেকে কী-ওয়ার্ড খুঁজে বের করুন। কোনো নির্দিষ্ট মানচিত্র নিয়ে খোঁজ করার আগে, অন্যান্য ম্যাপগুলোতে সাধারণ যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয় সেগুলো খেয়াল করুন। “মানচিত্র” শব্দটি হয়তো কালেভদ্রে দেখতে পাবেন। কিন্তু “স্কেল” শব্দটি অহরহই পাওয়া যায়। ফলে কাঙ্ক্ষিত ম্যাপটি খুঁজে পাওয়ার জন্য “স্কেল” শব্দটির পাশাপাশি অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করুন। 

 

যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চান সেগুলো সার্চে যোগ করুন এবং যেগুলো বাদ দিতে চান তা “বিয়োগ করুন। ভুয়া তথ্যের জোয়ার মোকাবিলার জন্য সাংবাদিকদের প্রায়ই খুঁজে বের করতে হয়: মিথ্যাটি সবার আগে কে ছড়িয়েছে। ফন এস, ওয়েবিনারে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের এমন চারজন বিজ্ঞানীর নাম খুঁজে বের করতে বলেছিলেন, যারা দাবি করেছিলেন, করোনাভাইরাস একটি জৈব অস্ত্র। তবে তিনি বাদ রাখতে বলেছিলেন সুপরিচিত আমেরিকান একাডেমিক ফ্রান্সিস বয়েলকে। ওয়েবিনারে উপস্থিত অর্ধেক সাংবাদিকই সার্চ করেছিলেন এরকম লিখে: “যে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন করোনাভাইরাস একটি জৈব অস্ত্র”। এবং কেউই এমন চারজন বিজ্ঞানীর নাম খুঁজে বের করতে পারেননি। ফন এস ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন – এমন দাবি করা বিজ্ঞানীরা কখনোই তাদের আসল পোস্টটিতে “বিজ্ঞানী” বা “দাবি করা” জাতীয় শব্দগুলো লিখবেন না। এক্ষেত্রে “ড. **” লিখে সার্চ করার পরামর্শ দিয়েছেন ফন এস। ওয়াইল্ডকার্ডস নামে পরিচিত এই তারকাচিহ্নগুলোর ফলে গুগল এখানে ডক্টরের পাশে থাকা দুটি শব্দ দিয়ে শূণ্যস্থান পূরণ করবে। এবং সার্চ করার সময় “বয়েল” লিখে, তার আগে একটি বিয়োগ চিহ্ন বসালে, ফ্রান্সিস বয়েলের নাম আছে এমন সব ফলাফল বাদ পড়বে।

 

বিভিন্ন সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য সার্চ অপারেটর ব্যবহার করুন: “অপারেটর” হচ্ছে এমন কিছু বিশেষ ক্যারেক্টার ও কমান্ড যা দিয়ে অনলাইনে আরো নির্দিষ্টভাবে সার্চ করা যায়। যেমন, দুটি কী-ওয়ার্ড কাছাকাছি পাওয়া যাবে, এমন সার্চের জন্য AROUND (বড় হাতের অক্ষরে) নামের অপারেটরটি ব্যবহার করতে পারেন। AROUND-এর পাশে ব্র্যাকেটে সেই সংখ্যাটি লিখতে হবে, যে দৈর্ঘ্যের মধ্যে আপনি পরবর্তী কী-ওয়ার্ডটি দেখতে চান। যদি আপনি কোনো শিরোনামের মধ্যে এই দুইটি বিষয় খুঁজে পেতে চান তাহলে AROUND অপারেটরটির পাশে বসাতে পারেন ৭ সংখ্যাটি। কারণ, শিরোনাম সাধারণত সাত শব্দের মধ্যে হয় (এভাবে সার্চ দিলে, পাশাপাশি সাতটি শব্দের মধ্যে ওই দুটি কী-ওয়ার্ড থাকলে, গুগল তাকে খুঁজে বের করে আনবে)। যদি ইংরেজি কোনো বাক্যের মধ্যে খুঁজতে চান তাহলে বাক্যের গড় শব্দসংখ্যা ১৭ বসিয়ে খোঁজ করতে পারেন। আর যদি কোনো অনুচ্ছেদের মধ্যে খুঁজতে চান তাহলে AROUND অপারেটরের সঙ্গে থাকা ব্র্যাকেটের মধ্যে ৩০ বসিয়ে চেষ্টা করুন। অন্য ভাষায় খোঁজ করার ক্ষেত্রে গড় বাক্য ও শিরোনামের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী মান পরিবর্তন করুন। তবে খেয়াল রাখুন: AROUND ও এই ব্র্যাকেটের মধ্যে যেন কোনো ফাঁক (স্পেস) না থাকে। ফন এস সেই চার জন বিজ্ঞানীর নাম খুঁজে পেয়েছিলেন এভাবে সার্চ করে: “Dr. * *” AROUND(7) “coronavirus is a bioweapon” -boyle. (অর্থ্যাৎ, তিনি ডক্টর শব্দটিকে খুঁজছেন, এবং ডক্টরের পাশে থাকা সাতটি শব্দের মধ্যে লেখা আছে, ‘করোনাভাইরাস একটি জৈব অস্ত্র’ এবং এখান থেকে বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে তিনি বয়েল নামটিকে বাদ দিয়েছেন।) তিনি বলেছেন, “আমি কি আশা করি যে, আপনি এই সব ফর্মুলা মুখস্ত করে রাখবেন? না। আমি নিজেও তেমনটা পারি না। এমন কাজের ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় নানাভাবে চেষ্টা করা। ‍যদি ব্যর্থ হন, তাহলে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করুন যে কেন এটি কাজ করছে না, এবং আবার চেষ্টা করুন। আপনাকে অনেক সময়ই চিন্তাভাবনা করতে হবে অংকের মত করে।”

ছবি : সংগৃহীত। আপনি যদি বিদেশী ভাষায় কোনো মানুষের বানান কেমন হবে, তাও না জানেন তাহলে গুগল ইমেজে সেই ব্যক্তির ছবি বসিয়ে সার্চ করতে পারেন। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন কান্ট্রি আইডেনটিফায়ার। এভাবে সার্চ করার মাধ্যমে বিদেশী ভাষাতেই পেয়ে যাবেন সেই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য।

 

মানুষ খুঁজে পেতে এবং বিদেশী সংবাদমাধ্যমে তারা কিভাবে উঠে এসেছে, তা জানতে ছবি ব্যবহার করে সার্চ করুন। এটি করার জন্য গুগল ইমেজ সার্চে গিয়ে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করুন। এবং যে মানুষটিকে নিয়ে আপনি অনুসন্ধান করছেন, তার কোনো ছবির লিংক সেই বক্সে পেস্ট করুন। ছবির পাশের সার্চ বক্সে কান্ট্রি আইডেন্টিফায়ার বসিয়েও সার্চ করতে পারেন। (যেমন, ইরানের ক্ষেত্রে, কান্ট্রি আইডেন্টিফায়ার হিসেবে ব্যবহার হবে site:ir)। ফন এস বলেছেন, এভাবে সার্চ করলে ইরানি গণমাধ্যমে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে কী কী তথ্য আছে, সব আপনি পেয়ে যাবেন। এমনকি আপনাকে এটিও জানতে হবে না যে, সেই ব্যক্তির নামের বানান কী, অথবা ফার্সি ভাষায় বানানটি কিভাবে লিখতে হয়। “তবে ছবি ব্যবহারের ব্যাপারে খুবই সাদামাটা থাকুন। সবচে সাধারণ ছবিগুলো দিয়ে সার্চ করুন। যেমন সেই ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া ছবি, বা গুগল সার্চে প্রথম যে ছবিটি আসবে, সেই ছবি,” বলেছেন ফন এস।

 

ইনস্টাগ্রামের ছবি খুঁজে পাওয়ার জন্য হু পোস্টেড হোয়াট ও তারিখ ব্যবহার করুন। প্রথাগত রিভার্স ইমেজ সার্চ দিয়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন, এমন ছবির জন্য হু পোস্টেড হোয়াট?-এ জিওলোকেশন লিংক (ইনস্টাগ্রামে কোনো জায়গার নাম লিখে আপনি জিওলোকেশন লিংক পেতে পারেন) ও কাঙ্ক্ষিত দিনক্ষণ বসিয়ে সার্চ করুন। ছবিটি কে প্রথম পোস্ট করেছে, সেই ব্যক্তিকেও আপনি এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে পারেন। গুগল সার্চের মাধ্যমে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করতে পারেন, এবং ছবি নিয়ে কথা বলতে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

ছবি : সংগৃহীত। রিভার্স ইমেজ সার্চ দিয়ে কোনো ছবি খুঁজে পাওয়া যখন কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তখন হু পোস্টেড হোয়াট-এ জিওলোকেশন কোড লিংক ও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বসিয়ে সার্চ করতে পারেন। এভাবে আপনি শুধু সেই ছবিটিই নয়, সেটির মূল উৎস কোথায়; তাও জেনে যেতে পারবেন।

 

আপনার যদি শুধু এটুকু জানা থাকে যে একটি ভিডিও কোথায় পোস্ট করা হয়েছে, তাহলে খুঁজে বের করুন অন্য কোন কোন জায়গায় সেই ভিডিওর লিংক দেখা গেছে। ধরা যাক, আপনি শুধু এটুকু জানেন যে, ভাইরাল একটি ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছিল। এর অন্য লিংকগুলো খুঁজে বের করার জন্য লিংকটি গুগল সার্চে পেস্ট করুন এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিকে সার্চ থেকে বাদ দিন এভাবে: -site:youtube.com। মুছে দেওয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ছবি খুঁজে পেতেও এই “বাদ দেওয়ার” কৌশলটি কাজে লাগাতে পারেন। এজন্য মুছে দেওয়া ইনস্টাগ্রাম লিংকটি গুগলে বসিয়ে সার্চ করুন। তবে সঙ্গে যোগ করুন এটি: -site:Instagram.com। এভাবে আপনি হয়তো থার্ড পার্টি সাইটে আর্কাইভ করা কোনো লিংকের খোঁজ পেয়ে যাবেন।

 

বিকল্প ভিজ্যুয়াল সূত্রের কথা চিন্তা করুন। ছবির মতো করে চিন্তা করার ক্ষেত্রে বড় উদাহরণ হতে পারে বিভিন্ন লোগো। যে কোম্পানিটিকে নিয়ে কাজ করছেন, তাদের ওয়েবসাইটে যদি বেশি তথ্য না থাকে, এবং একটি লোগো থাকে; তাহলে আপনি খোঁজ করে দেখতে পারেন যে ওয়েবের অন্য কোনো জায়গায় সেই লোগো দেখা গেছে কিনা। যেমন, কর্পোরেট ওয়েবসাইটে প্রায়ই অনেক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকে। এজন্য আপনি লোগোটি দিয়ে সাধারণ একটি রিভার্স ইমেজ সার্চ চালাতে পারেন গুগল ইমেজে। এবং সার্চ করার সময় কোম্পানির ওয়েবসাইটকে বাদ দিতে পারেন “-site:” অপারেটরটি ব্যবহারের মাধ্যমে।

 

অ্যাডভান্সড টুল কাজ না করলে আক্ষরিকভাবে সার্চ করার চেষ্টা করতে পারেন। ফন এস একটি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন কিভাবে টিনআই ও ইয়ানডেক্সের মতো শক্তিশালী রিভার্স ইমেজ টুল দিয়েও বিমানবন্দরে একজন অভিযুক্ত সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করা যায়নি। কিন্তু সেখানে খুবই অস্বাভাবিক একটি ভিজ্যুয়াল সূত্রের কথা বলা হয়েছিল। সেই অভিযুক্ত সন্ত্রাসীর পেছনে দেখা গিয়েছিল একটি বড় হলুদ রঙের টেডি বিয়ার। ফলে শেষপর্যন্ত তিনি গুগল ইমেজে ছবিটি খুঁজে পাওয়ার জন্য সার্চ করেছিলেন “বিমানবন্দর হলুদ টেডি” কী-ওয়ার্ড দিয়ে। তবে ফন এস স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন: গুগল ইমেজে “সবুজ” বা “নীল” ইত্যাদি রঙ দিয়ে সার্চ করতে হলে, রঙের নাম লিখতে হবে ইংরেজিতে।

 

 

-রোয়ান ফিলিপ জিআইজেএন-এর রিপোর্টার। দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমসে কাজ করেছেন প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে। বিদেশ প্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন বিশ্বের দুই ডজনেরও বেশি দেশ থেকে।

 

(জিআইজেএনে প্রকাশিত রোয়ান ফিলিপের লেখাটি বিজেসি পাঠকদের জন্য সরাসরি তুলে ধরা হলো।)