'১৮ বছর বয়সের বেশি কেউ টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তি', তথ্যটি সঠিক নয়


'১৮ বছর বয়সের বেশি কেউ টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তি', তথ্যটি সঠিক নয়

ছবি: সংগৃহীত

 

‘১৮ বছরের বেশি কেউ টিকা না নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবেন না’ গণমাধ্যমে প্রচারিত এই বক্তব্য সত্য নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩ আগস্ট, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিকা নেয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না’ বলে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি।

এদিকে সমালোচনার মুখে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। ৪ আগস্ট, বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এর আগে ১৮ বছরের ওপরের কোন ব্যক্তি টিকা ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সভাপতি হিসেবে এ মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

সে সময় তিনি বলেন, ১১ই আগস্টের পর বিধিনিষেধ শিথিল থাকলেও ১৮ বছরের বেশি কেউ টিকা না নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোন ব্যক্তি হেঁটে হোক অথবা যেকোনো বাহনেই হোক, কেউ বের হলে তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে। না হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ১১ই আগস্ট থেকে দোকানপাট-অফিস খুললেও, ভ্যাকসিন গ্রহণ না করে কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবে না। যারা দোকানের কর্মী, শ্রমজীবী মানুষ, যানবাহনের কর্মী, তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার সনদ থাকতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেয়ার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে সেসময় কোন দ্বিমত কিংবা ভিন্নমত প্রকাশ করেননি তিনি।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন টিকা নেয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা ২৫ বছর। তাই চাইলেও ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী কেউ টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন না। মন্ত্রী পরিষদের এরকম বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানালেও বেশিরভাগই এ বক্ত্যবের সমালোচনা করেন।