ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাক কারাগারে মারা গেছেন


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাক কারাগারে মারা গেছেন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিচারের মুখে কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন লেখক মুশতাক আহমেদ। ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর' অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন। গণমাধ্যমকে গিয়াস বলেন, ‘"রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দ্রুত তাকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত বলে জানান।''

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরীফ জানিয়েছেন, “কাশিমপুর কারাগার থেকে ওই বন্দীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।“

মুশতাক আহমেদ অনলাইনে লেখালেখি করতেন। এ কারণে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পড়েন। 

মুশতাকের বাবা আবদুর রাজ্জাক জানান, রাত ৯টার দিকে টেলিফোনে মুশতাকের মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানানো হয়। তিনি বলেন, "মুশতাককে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেদিন আমার ভাতিজা তার (মুশতাক) সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সে সুস্থ ছিল।"

গত বছরের মে’তে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এঁরাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‍্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।

মুশতাককে গ্রেপ্তারের পর পাঠানো হয়েছিল ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে ওই বছরের ২৪ আগস্ট তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হল৷