আমি আর নিউজ করব না !

তিন দিন আগে চট্টগ্রাম নগর থেকে নিখোঁজ হন সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন কুমিরা এলাকার একটি খাল থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। তাঁর শরীর জুড়ে ছিল বেদম প্রহারের চিহ্ন।
স্থানীয় ব্যক্তিরা গোলাম সরোয়ারকে উদ্ধার করে কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরীকে খবর দেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশ রাত আটটার দিকে গিয়ে সরোয়ারকে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা একটি ভিডিওতে দেখা যায় সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার জ্ঞানশুন্য অবস্থায় বলছেন ‘ভাই, আমারে মাইরেন না। আমি আর নিউজ করব না।’
ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার কোনো একসময় গোলাম সরোয়ারকে জঙ্গলে কে বা কারা ফেলে যান। বাজারের এক লোক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সেদিকে গিয়ে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তি গোলাম সরোয়ারকে দেখতে পান। পরে তাঁকে (চেয়ারম্যান) খবর দেওয়া হয়। তিনি পুলিশকে খবর দেন।
গোলাম সরোয়ার সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম নগরের ব্যাটারি গলির বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। তাঁর বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য।
সীতাকু- মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, সরোয়ারেকে উদ্ধারের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায় সিএমপি কোতোয়ালির সার্কেল এএসপি ও কোতোয়ালি থানার ওসি। এরপর চিকিৎসার জন্য সরোয়ারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত ১১টায় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর চমেক হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকে দেখতে যান।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়।