পেগাসাস কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে ভারতের এডিটরস গিল্ড


পেগাসাস কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে ভারতের এডিটরস গিল্ড

 

পেগাসাস–কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে ভারতের এডিটরস গিল্ড। ৩ আগস্ট, মঙ্গলবার ভারতীয় সাংবাদিকদের সংস্থা এ আবেদন জানায়। তদন্তের আবেদন জানান আরো পাঁচ সাংবাদিক।

আবেদনে এডিটরস গিল্ড বলে, সুপ্রিম কোর্ট যেন অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং এই নজরদারির আওতায় যাদের ফোন ছিল বা এখনও রয়েছে তাদের তালিকাও সরকার যেন প্রকাশ করে।

এছাড়াও এডিটরস গিল্ড ১৯৫১ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইনের বিধি ও ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলে, যে আইনের ক্ষমতা বলে সরকার নজরদারি করছে (১৯৫১ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইনের বিধি ও ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন) তা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক।

এডিটরস গিল্ডের আবেদনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো পাঁচ সাংবাদিক হলেন, প্রেমশঙ্কর ঝা, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, এস এন এম আবদি, রূপেশকুমার সিং ও ইপসা শতাক্ষী। অভিযোগকারী পাঁচ সাংবাদিকই ময়নাতদন্তের জন্য তাদের ফোন তদন্তকারী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ।

ময়নাতদন্তের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, প্রতিটি ফোনেই পেগাসাস প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছিল। পাঁচ সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে বলেন, তাদের ব্যবহৃত ফোন ভারত সরকার বা তৃতীয় কোনো পক্ষ দ্বারা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে তাদের ধারণা।  প্রকৃত অবস্থা কী তা যেন সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনার কথা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।

এরইমধ্যে পেগাসাস–কাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতে মোট পাঁচটি আবেদন জমা পড়েছে। একের পর এক মামলা দায়ের হওয়ায় সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার এডিটরস গিল্ড ও পাঁচ সাংবাদিকের আবেদনের আগে আইনজীবী এম এল শর্মা, কেরালার সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস, দুই সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমারের আবেদন আগে জমা পড়েছিল।

পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার বেআইনি ঘোষণা, আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে পেগাসাস ব্যবহারের সরকারি নির্দেশ ও তদন্তের সবকিছু সুপ্রিম কোর্ট এবং আবেদনকারীদের জানানোর নির্দেশনা, এ ধরণের প্রযুক্তি থেকে দেশের নাগরিকদের বাঁচাতে সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, বেআইনিভাবে নজরদারির সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের শাস্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা এবং নাগরিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় যেকোনো নির্দেশ জারি করার জন্য মঙ্গলবার পাঁচ সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা চেয়েছেন।