"কতবার যে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছি"- তাসনুভা


"কতবার যে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছি"- তাসনুভা

ইতিহাস রচনা করে বৈশাখী টেলিভিশনে নারী দিবসে দুপুর ১২টার সংবাদ শিরোনাম উপস্থাপন করলেন তাসনুভা আনান শিশির।বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটলো এরকম ঘটনা।

বিশ্ব নারী দিবসকে উদযাপনের অংশ হিসেবে বৈশাখী টেলিভিশনের নেয়া এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। এখন থেকে নিয়মিত বৈশাখী টেলিভিশনের সংবাদে দেখা যাবে শিশিরকে।

বৈচিত্রের অধিকারী তাসনুভাকে এতোদূর আসতে পাড়ি দিতে হয়েছে লম্বা পথ। বন্ধুর পথ পেড়িয়ে আজকের ‘তাসনুভা আনান’ পরিচয় পর্যন্ত আসাটা এতোটাও সহজ ছিল না। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে এসেছে নানা ধরনের অপমান-বঞ্চনা। তবে সমাজের সেসব নিচু দৃষ্টি দেয়া এবং আড় চোখে তাকানো মানুষদের পাত্তা দেননি তাসনুভা। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই বসেছেন বৈশাখী টেলিভিশনের নিউজ প্রেজেন্টারের আসনে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে তাসনুভার এই সূচনা উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসেবেই জ্বলজ্বল করবে সামনের দিনের ইতিহাসে।

আজকের অবস্থানে আসার পেছনের গল্পটা জানতে বিজেসি নিউজ গিয়েছিল বৈশাখী টেলিভিশনের অফিসে। তাসনুভা তখন শেষ মূহুর্তের অনুশীলনে ব্যস্ত। ব্যস্ততার মাঝেই হাসিমুখে বসলেন বিজেসি’র মুখোমুখি।

বিজেসিঃ দেশের ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে সংবাদ উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। আপনাকে অভিনন্দন। কেমন আছেন?
তাসনুভাঃ আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদে অনেক ভালো আছি।

বিজেসিঃ আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
তাসনুভাঃ বাগেরহাটের মংলা উপজেলায়

বিজেসিঃ পড়াশোনা কোথায় করেছেন এবং করছেন?
তাসনুভাঃ টি এ ফারুক হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। স্কুল পর্যন্তই ওখানে (বাগেরহাট) ছিলাম। তারপর ইন্টারমিডিয়েট, গ্র্যাজুয়েশন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সমাজকর্মে মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস। পড়াশোনা করেছি নারায়নগঞ্জের সরকারী তোলারাম কলেজে। বর্তমানে ব্র্যাক জে পি জি স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করছি। এটা ডব্লিউএইচও (ওয়ার্ল্ড হেলথ ওরগানাইজেশন) থেকে সমর্থিত টিডিআর-এর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। এক বছরের এই মাস্টার্সের আমাদের কোর্স জানুয়ারির শেষ দিকে শুরু হয়ে এখনো চলছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে শেষ হবে।

বিজেসিঃ ছোটবেলা কেমন কেটেছে আপনার?
তাসনুভাঃ যতদূর মনে পড়ে আমার ছোটবেলার সময়টাই সবচেয়ে বাজে সময় ছিল। অনেক হ্যারেজমেন্ট, বুলিং, অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা, সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট সব কিছু মিলিয়ে আসলে একটা বাজে সময় পার করা হয়েছে। ছোটবেলার যতোটুকুই মনে পড়ে কোন ভালো স্মৃতি এর মাঝে নেই। মানুষের ট্রল, এই আশেপাশের মানুষের সো কল্ড ‘স্টিগমা’টাই বেশি ভেসে আসছে চোখের সামনে।

বিজেসিঃ নিউজ প্রেজেন্টার হবেন এমনটা ভেবেছিলেন কখনো?
তাসনুভাঃ মেঘ না চাইতে বৃষ্টি বোঝেন? এরকম একটা কথা আছে না? আমি আসলে কোনদিন ভাবিনি এরকম একটা এক্সপোজার হবে।

বিজেসিঃ বৈশাখীর স্টুডিও পর্যন্ত আসার পথযাত্রাটা কেমন ছিল?
তাসনুভাঃ আমি অভিনয় করি এ কথাটা আগে নিশ্চয়ই শুনেছেন। ছোটবেলা থেকে নাচ করতাম তারপর ২০০৭ সালে একটা থিয়েটার দলের সাথে যুক্ত হই। তারপর দেশের বাইরে কোলকাতা-ঢাকা মিলিয়ে বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের সহচার্যে থাকতে পেরেছিলাম। তাদের থিয়েটারের ওপরে যে কোর্সগুলো সেগুলো করতে পেরেছিলাম। মাঝখানে অনেকগুলো নাটকের দলের সাথে কাজ করেছি। স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হবো, অভিনয় করবো, এটা ছাড়া আসলে আমার মনে হয় না আমি আর কিছু পারি। তারই ধারাবাহিকতায় দিদি’র (চয়নিকা চৌধুরী) সাথে একটা কাজ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন টিপু আঙ্কেলের (বৈশাখী টেলিভিশনের ডিএমডি) সাথে কথা বলতে। তখন দিদি আমার নাম্বারটা আঙ্কেলকে দিলেন এবং আমাকে একটু কো-অপারেট করতে বললেন।

দিদি বলেছিলেন যে তারা একটা প্রডাকশন করবেন, ক্যারেক্টারটা খুবই ভালো আর তার (চয়নিয়া চৌধুরী) বিশ্বাস ছিল যে ক্যারেক্টারটা আমিই ডিল করতে পারবো। চয়নিকা দিদি’র সাথে আমার অনেকদিন কাজ ইচ্ছা ছিল কিন্তু এতোদিন ব্যাটে বলে মিলেনি তাই কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তারপর আমি একদিন আসলাম, সবার সাথে কথা হল। তখন অশোকা দা (বৈশাখী টেলিভিশনের বার্তা প্রধান) ছিলেন, বৈশাখী টিভির মুখপাত্র দুলাল ভাই, টিপু আঙ্কেল এবং প্রোগ্রাম ডিপার্টমেন্টের আরো যারা আছেন সবাই ছিলেন। তখন বৈশাখী টেলিভিশন থেকে আমাকে প্রস্তাব দেয়া হল যে অডিশন দিবো কিনা। নিউজ নিয়ে এর আগেও চেষ্টা করেছিলাম অনেক জায়গায় যে অন্তত মাঠটা তৈরি করা যায় কিনা বা কেউ গ্রহণ করে কিনা। কয়েকটা চ্যানেলে অডিশন দিয়েছি, সিভি দিয়েছি, ছবি দিয়েছি কিন্তু কেউ সেই অর্থে পাত্তা দেয়নি সত্যি কথা যেটা।

সেখান থেকে হতাশ হচ্ছিলাম এরমধ্যে আরেকটা ডার্ক স্টোরি আছে, সেখানে অনেক মানুষের সামনে আমাকে অপমান করা হয়। সেই ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালে যেটা আমার উপর অনেক প্রভাবও ফেলেছিল। আরও অনেক কিছু আছে যেটা আমি বলতে চাই না। তো সেসব জায়গা থেকে ভীষণ খারাপ লাগা এবং খারাপ অভিজ্ঞতা জীবনের সাথে যুক্ত হয়েছে। তারপর ১৮,১৯,২০,২১ ধীরে ধীরে তো সব ভুলে যাই, মাফ করে দিই মানুষজনকে। সেখান থেকে আবার অভিনয়ের দিকে ফিরলাম। আমি এটাই পারি। কন্ঠ শিল্পী হিসেবে কাজ করেছি এর মাঝে আবার চলচ্চিত্রের অফার পেলাম। দুটো চলচ্চিত্রে সাইন করেছি। এসবের মধ্যেই এই সুযোগটা আসলো। আমি একবারও না বলিনি। অন্তত চেষ্টা করতে চেয়েছি। অনান্য আট-দশজন যেই পদ্ধতিতে আসে আমিও ঠিক সেই পদ্ধতিতেই এগিয়েছি। অডিশন থেকে শুরু করে কোথাও কোন পদ্ধতির হেরফের হয়নি। জায়গাটার গুরুত্ব বোঝাতে দাদারা তখন বলেছেন যে অনেক উর্ধ্বতন জায়গা থেকে সাইন করা কাগজপত্র আসলেও তারা সেগুলোকে গ্রাহ্য করেন না, তারা দেখতে চান দর্শকের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন কতোটুকু। আমি চেষ্টা করতে থাকলাম। সেখান থেকে টানা ১০-১২ দিন ড্রাই-রান করার পর আগামীকাল অন এয়ার। এই ছিল এখানে আসার সমগ্র জার্নি। থ্যাঙ্ক ইয়্যু চয়নিকা দিদি।

বিজেসিঃ বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে গড়লেন আপনি। হয়তো অনেক আগেই হতে পারতো তারপরও দেরি হলেও শুরু হলো। সবমিলিয়ে কেমন লাগছে?
তাসনুভাঃ আসলে এতো মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসা জানাচ্ছে, নানাভাবে সেই ভালোবাসার ছোঁয়াগুলো আমি পাচ্ছি। এই ভালোবাসাটা আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখাচ্ছে। সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষ আমাকে যেভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। সার্বভৌম বাংলাদেশে আমরা স্ব মাতৃভাষায় কথা বলি। আমাদের বাংলা ভাষা রয়েছে যার একটা ঐতিহ্য আছে এবং সে ভাষায় আমি খবর পড়ছি। আমি যতোবারই ভাবি ততোবারই গর্ববোধ হয়। আমি গত ৩/৪ দিন ধরে শুধু কান্নাকাটিই করছি কারণ আকি এতো ইমোশনাল হয়ে পড়েছি।

বিজেসিঃ স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দেশের কাছে নিজের জন্য বা কমিউনিটির মানুষের জন্য কোন চাওয়া আছে?   
তাসনুভাঃ ৫০ বছর লেগে গেছে এই স্বীকৃতিটা পেতে কিন্তু আরও অনেক কিছু তো বাকি রয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গায়ন, নীতি নির্ধারন, অন্তর্ভুক্তির জায়গা, জন্ম-মৃত্যু সনদ, বিবাহ রীতি, পরিবার গঠন, মৃত মানুষের সৎকারের জায়গাসহ এই বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে আমি সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাবো স্বাধীনতার ৫০ বছরেই যেন শেষ হয়। আমি আমার আর একটা বোনকেও রাস্তায় দেখতে চাই না। আমি মানুষগুলার একটা ঘর দেখতে চাই, প্রত্যকেটা মানুষের একটা পরিবার দেখতে চাই, দেখতে চাই তার নিজের কিছু হোক। ঐ দুপুরের রোদে কড়া মেকাপ করে রোদে পুরতে কারোরই ভালো লাগে না। এই জায়গাটা যেনো মানুষজন বোঝে।

বিজেসিঃ (আপনি চাইল প্রশ্নটা স্কিপ করতে পারেন) জেন্ডার পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আপনি কেমন বোধ করছেন? 
তাসনুভাঃ দেখুন আমাদের সোসাইটিতে বৈচিত্র বলে যে একটা শব্দ আছে আমরা কিন্তু সেটাকে স্বীকৃতি দিই না। এখনো মানুষের গায়ের রঙ যেখানে সৌন্দর্যের মাপকাঠি হয় সেখানে সেক্স চেঞ্জ বিষয়টাকে মানুষ কোন জায়গায় দেখবে আপনি বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। এই স্পর্শকাতর জায়গাগুলো কখন মানুষ পরিবর্তন করে? আমি কিন্তু নিজের জন্য করিনি, সমাজের মানুষ আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বাধ্য করেছে। আমার অন্যরকম নারীসত্তাটা তাদের চোখে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেই আমাকে সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছিল। এই যে প্রক্রিয়াটা সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট, মেডিকেল টিমের কাছে যাওয়ার ধৈর্য, সময় ও যে পরিমান টাকা খরচ হয়েছে এবং যে পরিমাণ মুড সুয়িং সবমিলিয়ে প্রক্রিয়াটা এতো সহজ ছিল না। তাদেরকে আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই যারা আমার পাশে ছিলেন সে সময়টাতে। কিন্তু সেটা আমি ইচ্ছা করে হইনি। এই সমাজের তথাকথিত পিতৃতন্ত্র এবং মানসিকতা আমাকে বাধ্য করেছে আমাকে পরিবর্তন করতে। আমার সত্ত্বাটাকে যদি আপনারা স্বীকৃতি দিতেন তাহলে আমি তো চাইতাম আমার মতোন থাকতে, অনেকেই তো থাকতে চান কিন্তু আমরা তো গ্রহণ করি না। উপায় ছিল না আমার। বাধ্য হয়েই পরিবর্তন করতে হয়েছে।

বিজেসিঃ যেহেতু সাংবাদিকতা সেক্টরের সাথে যুক্ত হচ্ছেন, গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান? 
তাসনুভাঃ আপনারা যারা মেইনস্ট্রিমে কাজ করছেন  এবং যারা গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনায় আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আমি একা তাসনুভা ক্ষুদ্র একজন মানুষ। আমি একা কিছু করতে পারবো না। আজ যেমন আমার একটা এক্সপোজার হয়েছে, আমার প্রশংসা করছেন, আপনার পাশেও একজন তাসনুভা আছে। তাকে একটু খুঁজে বের করেন, একটু সময় দেন, যদি সম্ভব হয় এক্সপোজ করেন।

বিজেসিঃ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
তাসনুভাঃ সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ আপনারা আরেকজন তাসনুভার জন্য কিছু করতে পারলে করেন কিন্তু না করতে পারলেও তার চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েন না।

বিজেসিঃ ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিতে যারা আছে তাদের জন্য কোন সাজেশন? 
তাসনুভাঃ কমিউনিটিতে যারা আছে তাদেরকে বলবো যোগ্য হওয়াটা খুব বেশি জরুরী। আমাদের প্রত্যেকের মাঝখানে অনেক সম্পদ আছে। প্রত্যকেটা মানুষই স্বতন্ত্র এবং একক। এক জনের সাথে আরেকজনের মিল নেই। আপনার সাথে আমার মিল নেই, আমার সাথে অন্যের। এই স্বতন্ত্র সত্ত্বাটার মধ্যে কিছু সম্পদ থাকে। নিজের সম্পদ যেটা সেটা খুঁজে পাওয়া খুব জরুরী। এই অভিনয় ভালোবাসি তাই অভিনয়টাই করতে চেয়েছি। এই জীবনে আসার জন্য কতো রাত আমি না খেয়ে ছিলাম, কতো রাতে থাকার জায়গা ছিল না, কতো কষ্ট করতে হয়েছে সেই গল্প কিন্তু কেউ জানেনা। সেটা শুধু আমিই জানি। লক্ষ্য থাকা এবং ধৈর্য থাকাটা খুব দরকার। একই সাথে স্বপ্ন দেখাটা খুব জরুরী।

বিজেসিঃ সামনের দিনের পরিকল্পনা কী?
তাসনুভাঃ এই যে দেখুন ক্লাস চলছে। আপাতত পড়াশুনাটা করতে চাই। আর সারাজীবন অভিনয়টা করতে চাই। আপাতত এইটুকুর এই স্বপ্ন দেখছি।

বিজেসিঃ ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে নিশ্চয়ই। তেমন কোন পরিকল্পনা শেয়ার করা যায় কিনা?
তাসনুভাঃ কমিউনিটির জন্য কতোটুকু করতে পারবো জানি না। অতীতে চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকতে। প্যানডেমিক থেকে শুরু করে যখন যেভাবে সুযোগ পেয়েছি পাশে থেকেছি। কথা বলে, কাজ করে যখন যেভাবে দরকার হয়েছে করেছি। যতোটুকু সুযোগ আমি পাবো, আমার জায়গা থেকে আমি সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করবো। আপাতত এটুকুই পরিকল্পনা।

বিজেসিঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ তাসনুভা  সময় দেয়ার জন্য। আপনার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা।
তাসনুভাঃ আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।