১০ বছরেও অগ্রগতি নেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার


১০ বছরেও অগ্রগতি নেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার

ছবি : সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে প্রায় এক দশক আগে সংঘটিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।

২৫ অক্টোবর, সোমবার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ন বা র‍্যাব চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা দাখিল করেনি। র‍্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ শে নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮২ বার পেছানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরোয়ার ওরফে সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হোন। এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন : ৪৮ ঘন্টা থেকে ৯ বছর এবং চলছে..

প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলায় মোট পাঁচটি তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রথমে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, এরপর ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ওই বছরের ৭ জুন, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর ও সর্বশেষ গত বছরের ২১ মার্চ তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে দুজন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। ওই দুই অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রিল কাটা অপরাধে চোর-ডাকাতদের বিষয়েও নিবিড়ভাবে তদন্ত অব্যাহত আছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা র‍্যাব এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে দুজন জামিনে ও বাকি ছয় আসামি কারাগারে আছেন।