সাংবাদিক নির্যাতন : ডিসি সুলতানাসহ চারজনের পদায়নের বিরুদ্ধে রুল

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও সাবেক এনডিসি রাহাতুল ইসলামকে বরিশাল ডিসি অফিসে দেয়া পোস্টিং (সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে একই মামলার অপর তিন আসামিকে পোস্টিং না দেয়ার বিষয়ে বিরত থাকতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

এর আগে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চারজনকে বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিংয়ের বৈধতা এবং অন্য তিনজনকে পোস্টিং না দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

রিটে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্যাতনের শিকার বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলাম রিগান এ রিট দায়ের করেন।

২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে সে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ওই ঘটনার ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়।