পথচারী কিশোরী জিতলো পুলিৎজার


পথচারী কিশোরী জিতলো পুলিৎজার

সাংবাদিকতার নোবেলখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন পথচারী কিশোরী ডারনেলা ফ্রেজার। যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ছবি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করার কারণে বিশেষ ক্যাটাগরিতে সাংবাদিকতার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিন কর্তৃক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনায় প্রথম সংবাদ প্রকাশ করায় ‘দ্য মিনিয়াপোলিস স্টার’কে ব্রেকিং নিউজ ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

গত বছর ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ধরেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিন। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। এ ঘটনায় ব্যাখ্যামুলক প্রতিবেদনের জন্য রয়টার্স ও দ্য আটলান্টিক’কে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

এছাড়াও, করোনা মহামারি নিয়ে ক্রমাগত দূরদর্শী রিপোর্টিংয়ের জন্য নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য আটলান্টিক’কে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। ফিচার ফটোগ্রাফিতে পুরস্কার জিতেছেন এপি’র এমিলিও মোরেনাত্তি।

এ বছর যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য দ্য মার্শাল প্রজেক্ট, আল ডটকম, ইনডিস্টার ও ইনভিজিবল ইনস্টিটিউট ন্যাশনাল রিপোর্ট ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে চীনের উইঘুর ইস্যুতে অনুসন্ধানী খবর প্রকাশ করে আন্তজার্তিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যম বাজফিড। তবে এ বছর এডিটরিয়াল কার্টুন ক্যাটাগরিতে কোন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়নি।

১৯১৭ সালের ৪ জুন প্রথম পুলিৎজার পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রথমে শুধু সংবাদপত্রকে এই পুরস্কার দেওয়া হতো। পরে অনলাইন জার্নালিজম, সাহিত্য, সংগীত, ফটোগ্রাফি ও কবিতাকে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে ২১টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আমেরিকার জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুলিৎজার পুরস্কার সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত। হাঙ্গেরীয়-মার্কিন সাংবাদিক জোসেফ পুলিৎজার এই পুরস্কারের প্রচলন করেছিলেন। ১৯১১ সালে মৃত্যুর সময় পুলিৎজার নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ রেখে গিয়েছিলেন। তার অর্থের কিছু অংশ দিয়ে ১৯১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার স্কুল গঠিত হয়েছিল। এই অর্থের মাধ্যমেই প্রথমবার এই পুরস্কার ঘোষিত হয়।