রাশিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল থেকে সাংবাদিক আটক

রাশিয়ায় শীর্ষ স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে ‘বিদেশী এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রতিবাদে মিছিল করার সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ।

রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় ২০ আগস্ট, শুক্রবার ‘বিদেশী এজেন্টদের’ একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় দোযহদ (রেইন) টিভি এবং অনলাইন অনুসন্ধানী আউটলেট ভাজনে ইস্তোরি (গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ)কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে ২১ আগস্ট শনিবার মস্কোর লুবায়ঙ্কা স্কোয়ারে মিছিল করেন সাংবাদিকরা। এসময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আটক করা হয়।

মিছিলে ‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’, ‘আপনি সত্যকে ভয় পাচ্ছেন’ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাশিয়ার শীর্ষ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির প্রধান সদর দফতরের বাইরে এই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবাদ মিছিলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ও আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।

রাশিয়ায় পিকেটিং একটি প্রশাসনিক অপরাধ। এই অপরাধের জন্য ২৭০ ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

শনিবার পিকেটিং করা দোযহদ টেলিভিশনের এক সাংবাদিক ফরিদা রুস্তমোভা বলেন, ‘আমি টিভি চ্যানেল দোযহদকে 'বিদেশী এজেন্ট' হিসেবে চিহ্নিত করার বিপক্ষে, আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই এবং রাশিয়ায় বসবাস করতে চাই। আমি চাই না আমার সহকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হোক, তল্লাশি করা হোক এবং 'জনগণের শত্রু' বা 'এজেন্ট' হিসেবে চিহ্নিত করা হোক’।

কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে ভাজনিয়ে ইস্তোরিতে কর্মরত ইউলিয়া ক্রাসনিকোভা নামের এক সাংবাদিক এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন।

ক্রাসনিকোভা বলেন, ‘অন্য সরকারপন্থি মিডিয়া যেসব প্রতিবেদন লিখছে, সেসব আমরা লিখতে চাই না। তার অর্থ এই নয় যে, আমরা কিছু লঙ্ঘন করি এবং আমরা 'বিদেশী এজেন্ট’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে এর প্রতিবাদ করতে এবং আমার সহকর্মীদের সমর্থন করতে এসেছি’।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ ১৯শে সেপ্টেম্বরের সংসদীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দল এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। এটিকে রাশিয়ার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পুতিনকে তার শাসন পাকাপোক্ত করার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।