সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ৯ সাংবাদিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা


সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ৯ সাংবাদিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে  মামলা

 

মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে কয়েকটি গণমাধ্যমের সম্পাদক-প্রতিবেদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। ১৮ আগস্ট, বুধবার জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানকে এক নম্বর বিবাদী উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম, নিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও মো. সেলিম এবং কালের কণ্ঠের সাংবাদিক এস এম রানাকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী দীপক কুমার শীল বলেন, ‘মামলার বাদী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে এবং বাদীর মানহানি হয়েছে। বিবাদীরা মানহানিকর সংবাদ প্রকশের কারণে বাদী শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে তার বৈষয়িক কাজেও ক্ষতি হওয়ায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে’।

এর আগে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক ও তার ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের সঙ্গে সায়েম সোবহানের ‘শত্রুতাকে’ পুঁজি করে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রচার করা হয় বলে অভিযোগ আনেন এই সংসদ সদস্য।

তার দাবি চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনায় শারুনকে জড়িয়ে গত ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রচার করা হয়। এছাড়াও তাকে ও তার সন্তানকে জড়িয়ে আরও বিভিন্ন ধরনের ‘মিথ্যা’ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দীপক কুমার শীল জানান, মামলার আগে তিনি গত ২৬ এপ্রিল ওই সংবাদগুলো সরিয়ে নিতে বিবাদীদের কাছে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যাডভাইজর (প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘যেহেতু এ নিয়ে মানহানি মামলা হয়েছে, এখন এটা আমরাও আইনগতভাবে মোকাবেলা করব’।

বুধবার শুনানি শেষে অভিযোগ গ্রহণ করেছেন আদালত । আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে, সামশুল হকের দায়ের করা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন। একই সাথে মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন সংগঠনটি নেতারা।