কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের ওপর হামলা


কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের ওপর হামলা

ছবি : সংগৃহীত

 

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর সস্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৭ আগস্ট, মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়ার ছেলে ট্রিপল হত্যা মামলার পরোয়নাভুক্ত আসামি উজ্জ্বলের নেতৃত্বে আবু হানিফের ওপর এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলার শিকার সাংবাদিকের নাম আবু হানিফ চৌধুরী। তিনি জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রত্রিকার দিরাই-শাল্লা ও দৈনিক সুনামগঞ্জ খবর প্রত্রিকার দিরাই প্রতিনিধি এবং দিরাই প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক।

জানা যায়, দাউদপুর গ্রামের হাজী আবু জাহের চৌধুরীর বাসায় তার মেয়ে সাহেরা খানম চৌধুরী ও সৎভাই জুলহাস গংদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ঘটনার দিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিয়ে জুলহাস ও তার লোকজন চড়াও হয় এবং হুমকি ধামকি দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দিলারা খাতুন দিরাই থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে দিরাই থানার এসআই সজিব দত্ত ও এসআই রাজেশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়।

সেসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক আবু হানিফ চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পর জুলহাসের পক্ষ নিয়ে উজ্জ্বলের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাহেরা খাতুনের বাসায় তাণ্ডব চালালে ঘটনার ছবি তুলেন আবু হানিফ। ছবি তুলতে গেলে তার উপরেও উজ্জ্বল ও তার বাহিনীর লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হামলার শিকার সাংবাদিক আবু হানিফ চৌধুরীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

আহত সাংবাদিক আবু হানিফ চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে আমি সংবাদ সংগ্রহের কাজে ঘটনাস্থলে যাই, এসময় উজ্জ্বল বাহিনীর তাণ্ডবের ছবি তুলতে গেলে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চণ্ডিপুর গ্রামের মোশাররফ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল ও আছাব উদ্দিনসহ কয়েকজন পুলিশ থাকাবস্থায় আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়”।

এ বিষয়ে দিরাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান জানান, বাসার ভেতর হামলার খবর পেয়ে পুলিশের ইমার্জেন্সি ফোর্স পাঠানো হয়।

এসআই সজিব দত্ত বলেছেন, “আমি বাসার ভেতরে ছিলাম, গেটের সামনে ঘটনা ঘটেছে”।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুলহাস মিয়া আবু হানিফ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে বলেন, “আবু হানিফের ওপর কে হামলা করেছে আমি জানি না”।