ওয়ার্ক ফ্রম হোম : সাংবাদিকদের জন্য ৫টি দরকারি ‘টুলস’


ওয়ার্ক ফ্রম হোম : সাংবাদিকদের জন্য ৫টি দরকারি ‘টুলস’

 

করোনাকালীন সময়ে খুব পরিচিত একটি বিষয় হচ্ছে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”। এ থেকে বাদ যাননি সাংবাদিকরাও। অনেককেই এখন বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে।

সাংবাদিকদের যে কয়টি সরঞ্জাম নিয়ে এসময় কাজ করতে হচ্ছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে জার্নালিজম ডট ইউকে। এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এমন পাঁচটি টুলস যাতে করে বাড়িতে বসে সাংবাদিকরা তাদের কাজ আরো সহজ ও সুন্দরভাবে করতে পারবেন।

হেল্প এ রিপোর্টার আউট

সব সাংবাদিকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার প্রতিবেদনের জন্য নির্ভরযোগ্য সাক্ষাৎকার। আর এই সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে খুঁজে পেতে রিপোর্টারকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। তার সাথে যুক্ত হয় সময়সীমা।

হেল্প এ রিপোর্টার আউট (HARO) হল এমন একটি মাধ্যম যা সাংবাদিকদের প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞের সাথে সংযুক্ত করে দেয়। এটি পিআর এবং মার্কেটিং কমিউনিকেশন কোম্পানি সিশন দ্বারা ডিজাইন করা হয়। সাংবাদিক এবং সোর্সেস উভয়ই বিনামূল্যে এখানে সাইন আপ করতে পারবেন। এরপর, সাংবাদিকরা প্ল্যাটফর্মে তাদের “প্রশ্ন’ জমা দেবেন। সেই সাথে প্রতিবেদনের মৌলিক তথ্যগুলোও দিতে হবে। এসব জমা দেয়ার পর খুব সহজেই মিলবে উত্তর।

গ্যাদার

আপনি কি আপনার সহকর্মীদের জন্য একটি সামাজিক স্থান তৈরি করতে চান যখন আমরা সবাই দূর থেকে কাজ করছি? এছাড়াও আপনি কি পিক্সেলেটেড আরপিজি-স্টাইলের গ্রাফিক্সের অনুরাগী? তাহলে অনলাইনে আমরা নিজের রেট্রো ভিডিও গেম-স্টাইলের কর্মস্থল তৈরি করতে পারি এবং কাস্টমাইজ করে নিতে পারি। এতে আমরা কটি অবতার তৈরি হবে যা দিয়ে কীবোর্ডের তীরচিহ্নগুলি ব্যবহার করে বিশ্ব মানচিত্র ব্যবহার করা যাবে এবং খুব সহজেই আমাদের সহকর্মীদের আমরা ভার্চুয়াল স্পেসে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবো।

ভার্চুয়াল ওয়ার্ক স্টেশনগুলির মতো আমরা খুব সহজেই তাদের কাছে যেতে পারবো এবং ঠিক একই সময়ে একটি ভিডিও চ্যাট বুট ওপেন হবে। এসময় একে অপরের সাথে কথা বলা যাবে, অথবা যদি একাধিক লোক থাকে, আপনি গ্রুপ চ্যাট করতে পারবেন। এখানে কাজ করার সময় মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা একসাথে কাজ করার জন্যে ব্যবহারকারীকে অনুমতি দিতে হবে। ২৫ জন পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা এটি বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে এবং কাস্টমাইজ করে মানচিত্র, সীমাহীন ইন্টারেক্টিভ বস্তু যেমন গেম, ভিডিও এবং বার্তা হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে সুরক্ষায় থাবে আপনার পাসওয়ার্ডও।

ভয়েস রেকর্ডার এবং মেমো প্রো

এসময় ঘরে থেকে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ বা ভয়েস ক্লিপ নিয়ে সবসময় কাজ করতে হয়। অনেক সময়ই এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এটিতে এমন মেনু রয়েছে যেখানে ক্লিপ রেকর্ড করা যাবে, এক্ষেত্রে ইন্টারভিউতে ব্যাকগ্রাউন্ডের আশেপাশের শব্দ কম হবে।

সাউন্ড রেকর্ড করার সময়, যেই দেশ থেকে ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছে সেই দেশের পতাকাগুলো চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়াও প্লেব্যাক মেনুতে আছে কিছু বিকল্প অপশন। যেমন ক্লিপের গতি বাড়ানো বা কমিয়ে দেয়া। এছাড়াও অডিও থেকে খুব সহজেই টেক্সটে কনভার্ট করা যাবে। এই সবগুলো ফ্রি ফিচার। শুধুমাত্র রেকর্ডিং স্টুডিওতে অ্যাক্সেস নিয়ে ক্লিপগুলো এডিট করতে হলে সাবস্ক্রাইব করতে হবে।

ইমোজিপিডিয়া

সোস্যাল মিডিয়ায় মনের ভাব প্রকাশ করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ইমোজি। এটি ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। পছন্দ হোক বা না হোক ইমোজি ছাড়া সোস্যাল মিডিয়াতে থাকা যেন এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার। এর মাধ্যমে বিভিন্ন শর্টকার্ট ব্যবহার করে সোস্যাল মিডিয়াতে ইমোজি ব্যবহার করা যায়।

স্মার্টফোনে খুব সহজে দেয়া গেলেও ডেক্সটপে কিছুটা সময় লাগে। তাই এর জন্যে রয়েছে বিকল্প উপায়। অ্যাপল ম্যাকগুলিতে, কন্ট্রোল + কমান্ড + স্পেস টিপেই দেয়া যাবে ইমো। পিসিতে, টিপুন: উইন্ডোজ লোগো কী + আই। এর ফলে ইমোজি কীবোর্ড আসবে, যেখানে যা প্রয়োজন তা বেছে নিতে পারবেন সহজেই।

বিকল্পভাবে, আমরা অনলাইন টুলস যেমন ইমোজিপিডিয়া ব্যবহার করতে পারি, যা আপনাকে শুধু সব ইমোজিই দিবে না বরং বিভিন্ন ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েব ব্রাউজারের জন্যও বৈচিত্র্যময় আইটেম দেয়। যা আমরা সহজেই সিলেক্ট করে কপি পেস্ট করতে পারি।

বি. লাইভ

লাইভ ভিডিও দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের অন্যতম একটি শক্তিশালী উপায়। ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন, ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এতে প্রচার হওয়া সাধারণ ভিডিওগুলিতে প্রায়ই এমন কিছুর অভাব থাকে যা আপনার ভিডিওটিকে পেশাদারভাবে উপস্থাপন করতে পারে না।

Be.Live হল এমন একটি লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যা বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইউটিউবের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যেখানে অতিথিরা যখন কথা বলা শুরু করে তখন সহজেই তাদের জন্য বিষয়ভিত্তিক রঙিন শিরোনাম দেয়া যায়। এছাড়াও কাস্টমাইজযোগ্য বৈশিষ্ট্যও প্রদান করে এই লাইভ-স্ট্রিমিংটি।

এর জন্য ব্যবহারকারীকে ফেসবুক বা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। সেখানে, ব্যবহারকারী তার সম্প্রচার সেট থেকে শুরু করে, কাট, লাইভ, শিরোনাম সব ধরণের বাটন একসাথে পাবে। এটি চ্যাটের মাধ্যমে আসা মন্তব্যগুলোও ফিল্ড করবে। এই প্ল্যাটফর্মটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এবং যার মধ্যে হোস্ট স্ক্রিন শেয়ারিং করা যাবে।

ক্রলার চালানো অর্থাৎ পর্দায় কল-টু-অ্যাকশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী মাসে তিনটি শো করতে পারবে। চার ঘন্টা স্ট্রিমিং করা যাবে। সম্প্রচারগুলো ক্লাউডে ব্যাক আপ করা যাবে না এবং সেগুলোতে ওয়াটারমার্ক থাকবে। তবে, পেইড ভার্সনে থাকবে নানান বাড়তি সুবিধা।