‘সাংবাদিকতার নামে কী হচ্ছে’ : দুদকের আইনজীবীকে হাইকোর্ট
০৪ আগস্ট ২০২১, ০৪:০২ পিএম
‘সাংবাদিকতার নামে কী হচ্ছে’ হাইকোর্টের নামে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ ও জয়যাত্রা টেলিভিশন নিয়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
৩ আগস্ট, মঙ্গলবার এক শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলমের উদ্দেশে ‘সাংবাদিকতার নামে কী হচ্ছে, দেখেন না। কী এক জাহাঙ্গীর বেরিয়েছে আইপিটিভি, কত চ্যানেল, কত নিউজ, কত টিভি…’ এসব মন্তব্য করেন আদালত।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিকে দুদকের উপ সহকারি পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলি স্থগিতের কোনো আদেশ না দেওয়া সত্ত্বেও হাইকোর্ট ওই বদলির আদেশ স্থগিত করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে আইনজীবী মাজহারুল হকের স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের আদেশের কপি থেকে বদলি আদেশ স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।
সোমবার এই বিষয়টি আদালতে নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাকিবুল হাসান। আদালত বিষয়টি নিয়ে রিজেন্ডার প্রকাশ করতে বলেন। পরে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোন ভুল স্বীকার করে প্রথম পৃষ্ঠায় বক্তব্য প্রকাশ করে।
এর আগে বদলির আদেশ বাতিল ও ‘রোহিঙ্গাদের এনআইডি জালিয়াতি’ বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফ যেন প্রতিবেদন দিতে পারেন সে বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়। সে আবেদন নিষ্পত্তি চেয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নামের একটি সংগঠনের চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি রিট করেন। মঙ্গলবার সে রিট শুনানির জন্য আদালতে উঠলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের উদ্দেশে আদালত বলেন, অন্য পত্রিকায় যদি এসে থাকে, তাহলে যেসব পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সবাই যাতে রিজয়েন্ডার দেয়। একই সাথে যে আইনজীবী এই অসত্য তথ্য প্রদান করেছেন তার কপি সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন।
এসময় খুরশীদ আলম কপি সংগ্রহ করার কথা আদালতকে অবগত করে বলেন, কপিটি জাল মনে হচ্ছে। তখন আদালত বলেন, যদি জাল হয়ে থাকে, তাহলে এর দায়ভার রিট আবেদনকারীকে নিতে হবে।
এসময় পত্রিকার খবর নজরে আনা আইনজীবী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, পত্রিকার কপিসহ তথ্যাদি ইতিমধ্যে দুদকের আইনজীবীকে পাঠানো হয়েছে। দৈনিক পূর্বকোণ ছাড়া মহানগর চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার নিউজ নামে দুটি পত্রিকার নিউজের কপি পেয়েছেন বলে জানান খুরশীদ আলম খান। এসময় আদালত সবগুলোতে যোগাযোগ করে ভিত্তিহীন রিপোর্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেন।
এসময় খুরশীদ বলেন, ‘দুদককে জানিয়েছি, কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো—যদি এই নিউজ বা রিটের পেছনে দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর ইন্ধন থাকে, দুদক তাঁর নিজস্ব ইনটেলিজেন্সির মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এরপরও আদালত যে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী দুদক পদক্ষেপ নেবে’।
এসময় আদালত সামগ্রিক বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেন।