‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তলানিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম’


‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তলানিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম’

 

‘দ্য গ্লোবাল ফ্রি এক্সপ্রেশন রিপোর্ট ২০২১’ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বৈশ্বিক পরিস্থিতির তথ্য মতে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায়’ সবচেয়ে তলানিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। তাদের বিচারে সবচেয়ে তলানিতে থাকা ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ।

গ্লোবাল এক্সপ্রেশন রিপোর্ট, আর্টিকেল নাইনটিনের সবচেয়ে জনপ্রিয় তথ্য-ভিত্তিক প্রতিবেদন। যা বিশ্বে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ট্র্যাক করে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে প্রত্যেকটা মহাদেশ নিয়ে আলাদা রিপোর্ট করা হয়েছে। এতে এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক অঞ্চলে জিআরএক্স রিপোর্টে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তলানি থেকে চার নম্বরে আছে বাংলাদেশ।

এছাড়া, ২০১০ সালে বাংলাদেশকে ইন্ডিকেড করা হয়েছে হাইলি রেস্ট্রিক্টেড, আর ২০২০ সালে বলা হচ্ছে ইন ক্রাইসিস।

এদিকে শূণ্য পয়েন্ট নিয়ে তলানি থেকে এক নম্বরে আছে উত্তর কোরিয়া। এরপরের স্থানে আছে চীন, তাদের পয়েন্ট ২। তলানিতে বাংলাদেশের উপরে আছে কম্বোডিয়া। আর বাংলাদেশের পরে আছে ভিয়েতনাম।

মেট্রিক সুচকে ১৬২ টি দেশের ২৫ টি সূচক নিয়ে কাজ করা হয়েছে। যাতে প্রতিটি দেশের জন্য ১ থেকে ১০০ এর স্কেলে মত প্রকাশের সার্বিক স্বাধীনতা স্কোর তৈরি করা হয়। স্কোরের ওপর ভিত্তি করে, আর্টিকেল নাইনটিন দেশগুলিকে পাঁচটি ক্যাটাগরির একটিতে রাখে।

কয়েকটি বিষয়কে নিয়ে জিআরএক্স মেট্রিক পরিমাপ করা হয়। এতে থাকে প্রত্যেক ব্যক্তি কতোটা মুক্তভাবে কথা বলতে পারে, লিখতে পারে, অনলাইন পোস্ট করতে পারে। এছাড়াও অবাধে জ্ঞান ও তথ্য কতোটুকু এক্সেস করতে পারে এবং তা শেয়ার করতে পারে সেটি দ্বারাও পরিমাপ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ২০২০ সালে প্রতিবাদ এবং সাধারণ জনগনের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের তথ্য নিয়েও বিভিন্ন দেশের সরকার অস্পষ্ট তথ্য দিয়েছে।

এছাড়া, তাদের প্রতিবেদনে তারা জানায়, মহামারি করোনাকালীন মিডিয়ার ওপর বিধিনিষেধ ছিলো সবচেয়ে সাধারণ গণতান্ত্রিক লঙ্ঘন। এছাড়াও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও অনলাইনে সেন্সরশিপ তীব্র হতে দেখা গেছেও বলে জানান তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২০ সালে সারা বিশ্বেই রাষ্ট্রের সাথে জনসাধারনের অংশীদারিত্ব কমেছে। পরামর্শ ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তদারকি হ্রাস করা হয়েছে, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে এবং জবাবদিহিতা ছিলো সীমিত। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী সরকার এবং বড় কর্পোরেশনগুলি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ঠিক একই সময় স্বাধীন মিডিয়া এবং এনজিওগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ধরণের চ্যালেঞ্জগুলো থেকে বের হতে প্রতিটি সম্প্রদায় এবং দেশে আরো জোরালো কণ্ঠস্বর বাড়ানোর পরামর্শ দেয় সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিথ্যা এবং প্রতারণা নয়, প্রয়োজন হবে আরো তথ্য এবং আরো স্পষ্টতা।