কোভিড হিরো অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন


কোভিড হিরো অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন

রোটারি ইন্টারন্যাশনালের "কোভিড নাইনটিন হিরো অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। করোনাকালে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি।

১৮ জুন, শুক্রবার বনানীর একটি হোটেলে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে ফরিদা ইয়াসমিনকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। মুক্তিযাদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক ও বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী তার হাতে এই পুরষ্কারটি তুলে দেন।

করোনার শুরু থেকেই ফরিদা ইয়াসমিন মাস্ক, বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, করোনা পরীক্ষা, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, বিভিন্ন হাসপাতালে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা, ডাক্তার প্যানেল তৈরি করা সহ সর্বাত্মকভাবে প্রেসক্লাবসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের পাশে ছিলেন। আবার সাংবাদিক সমাজের বাইরেও ব্যক্তি উদ্যোগে নরসিংদীর রায়পুরা গ্রামের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝেও তিনি করোনার শুরু থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ, প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে এসেছেন তিনি।

জানতে চাইলে ফরিদা ইয়াসমিন বিজেসিকে বলেন, “সমগ্র করোনাকালে নিজ উদ্যোগে নানা ধরনের সমাজ-সেবামূলক কাজ করেছি। আমি সবসময় গোপনে এই কাজগুলো করেছি, কখনো আমার ফেসবুকেও এগুলো শেয়ার দেইনি। রোটারী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম করে থাকে। তারা আমার এই তৎপরতাগুলো দেখেছে এবং এই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আমাকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে”।

তবে কোভিড-১৯ হিরো অ্যাওয়ার্ডকে শুধুমাত্র নিজের অর্জন বলতে নারাজ প্রেসক্লাবের সভাপতি। এই অর্জনকে সকল ফ্রন্টলাইনার সাংবাদিকদের প্রতি উৎসর্গ করে তিনি বলেন, “সাংবাদিক নেতা হিসেবে আমি মনে করি এই অর্জন আমার একার না। এই অর্জন সকল সাংবাদিকসহ যারা তৃণমূলে কাজ করছে তাদের সকলের। একই সাথে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল একটা আন্তর্জাতিক সমাজ সেবামূলক সংস্থা যারা বিশ্বব্যাপী কাজ করে। তারা সমগ্র বিশ্বে যারা করোনা মহামারীতে মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগীতা করছে তাদেরকে মূল্যায়ন করে আসছে। তাদের কাছ থেকে স্বীকৃতি আসাটা আমার অত্যন্ত সম্মানের। আমি যে ধরনের কাজ করেছি তা কিছুই আমি প্রচার করিনি। তারপরেও তারা ঠিকই খোঁজ নিয়েছে। আমার এই অর্জনকে আমি তৃণমূলে যেসব সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে তাদের সকলকে উৎসর্গ করছি”।

বাংলাদেশে রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রায় ৪০০ টিরও বেশি ক্লাবের প্রায় আট হাজারের মতো কর্মকর্তা রয়েছে যারা করোনাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষকে নানানভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এ ছাড়া ক্লাবের বাইরেও সমগ্র বিশ্বব্যাপী যারা করোনা মহামারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছেন তাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনকে সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।