৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা পাবে সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা


৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা পাবে সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা

সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ ছাড়া চাকুরির অনিশ্চয়তা দূর করতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য গণমাধ্যম কর্মী আইন অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে ।সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগও নেবে সরকার ।

১৬ জুন, বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণমাধ্যম কর্মীদের চাকুরির অনিশ্চয়তা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত গণমাধ্যম কর্মী আইন (চাকুরির শর্তাবলী) চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুয়োগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে সরকার ৮ম সংবাদপত্র রোয়েদাদ বাস্তবায়ন করে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮৮টি পত্রিকায় ৮ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।

নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে নানান সুযোগ সুধিনা প্রধানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত সাংবাদিকদের পরিবারের সহায়তা প্রদানের জন্য ১০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করোনা কারণে প্রেসক্লাবের আয় কমে যাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রেসক্লাবের অনুকূলে ৫০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

তবে সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেলেও টেলিভিশন সাংবাদিকরা এ ভাতার আওতাভুক্ত নয়। সাংবাদিকদের এ ধরনের ভাতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্ধারিত কোন বেতন কাঠামোও নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির সদস্য সচিব ও একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ বলেন, টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে রাষ্ট্র এবং সরকারের কাছে যে সুধিধাগুলো আমাদের পাওয়ার কথা তার কোন আইনগত ভিত্তি আমরা তৈরি করতে পারিনি। এটি আমাদের পেশাগত ব্যর্থতা। আমাদের জন্য যথাযোগ্য আইন না থাকায় যখনই দেনা পাওনার বিষয়টা আসে তখনই আমরা আর সেটা পাই না। আমরা মনে করি সরকারের স্বদিচ্ছা আছে।আশা করি আইনটা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলে আমরাও সেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবো। এখন টেলিভিশন সাংবাদিকদের কোন বেতন কাঠামো নেই। প্রথমে তাদের বেতন কাঠামোর ভেতরে আনতে হবে, তারপর এ ধরনের সুধিধা প্রযোজ্য হবে। তবে চুড়ান্ত করার আগে নিয়ম অনুযায়ী নিশ্চয়ই সকলের মতামত নেয়ার জন্য আইনটি ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা প্রয়োজন ।

প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্ন স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। এসময় বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমবান্ধব সরকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় গুরুতর আহত সাংবাদিকদের দেশ ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার করেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের অর্থ সহায়তা করা হয়।