সত্য প্রকাশের জন্যই আটক হচ্ছে সাংবাদিক : বিএফইউজে ও ডিইউজে


সত্য প্রকাশের জন্যই আটক হচ্ছে সাংবাদিক : বিএফইউজে ও ডিইউজে

‘এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু। সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন।  মামলা, নির্যাতন, হয়রানি তো নিত্যাদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ এসব অভিযোগ করেন।

 

রবিবার ১৩ই জুন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের আয়োজনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দী সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

 

সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াই মূল লক্ষ্য বর্তমানের এই ফ্যাসিবাদী সরকারের। মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না।

 

সমাবেশে বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানান এবং আরও বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।

 

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।

অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিচার বিভাগকে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। সাংবাদিকরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। বছরের পর জেল খাটছেন অথচ জামিন পাচ্ছেন না। দেশের বিচার বিভাগকে  স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।