মামলা: সাংবাদিক ৮৫, স্বাস্থ্যবিভাগ শূন্য


মামলা: সাংবাদিক ৮৫, স্বাস্থ্যবিভাগ শূন্য

করোনাকালের চৌদ্দ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সারাদেশে ৮৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিপরীতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।

৮ জুন মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা: কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এসব তথ্য দিয়েছে টিআইবি। তিনটি ধাপে চলমান গবেষণার তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনা থেকে এসব তথ্য উঠে আসে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ২৪৭ জন সাংবাদিক আক্রমণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটককৃত এক লেখক সরকারের ভূমিকা নিয়ে লেখার অপরাধে করোনাকালেও কারাগারে মৃত্যুবরণ, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় এক সাংবাদিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় নির্যাতনের শিকার ও আটক হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে অযৌক্তিকভাবে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩-এ মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।

গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতের কার্যক্রমে বিগত এক বছরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি পরিলক্ষিত হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করতে ও কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের বদলী করা হয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমেও সুশাসনের প্রতিটি নির্দেশে ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। আইনের লঙ্ঘন করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় টিকা আমদানির মাধ্যমে জনগণের টাকা থেকে তৃতীয় পক্ষের লাভবান হওয়া সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। টিকাদান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সমন্বয়ের ঘাটতি, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে পরিপূর্ণভাবে টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগের ঘাটতি ও সম প্রবেশগম্য টিকা কার্যক্রম নিশ্চিত না করার ফলে অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক জনগোষ্ঠী টিকার আওতার বাইরে রয়ে গেছে”।

সংবাদ সম্মেলনটিতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংস্থাটির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন।