জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ আর নেই


জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ আর নেই

জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ মারা গেছেন।

আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।  জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তপন কুমার বিশ্বাস  এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়েছিল।

জানা যায়, সোমবার ভোরে তিনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। 

জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আজাদ সোলায়মান জানান, আতিকুল্লাহর দুই ছেলের একজন বিদেশ থাকায় তাঁর মরদেহ এখন হিমঘরে রাখা হবে। ছেলে দেশে ফেরার পর জনকণ্ঠ সম্পাদককে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আতিকউল্লাহ খান মাসুদ গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।  তিনি জনকণ্ঠের সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক। তার সম্পাদনায় ১৯৯৩ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ প্রকাশিত হয়। এক সঙ্গে কয়েকটি জেলা থেকে পত্রিকাটি ছাপার ব্যবস্থা করায় প্রতিদিন সকালে দ্রুত সারা দেশে পৌঁছে যেত জনকণ্ঠ। বিষয়টি সে সময় বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে আলোড়ন তোলে, আতিকুল্লাহ খানও মাসুদও আসেন আলোচনায়। 

১৯৫১ সালের ২৯ অগাস্ট মুন্সীগঞ্জ জেলার মেদিনী মণ্ডল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। ১৯৭১ সালে  মুক্তিযুদ্ধে তরুণ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।