জনকণ্ঠে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ডিইউজের উদ্বেগ


জনকণ্ঠে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ডিইউজের উদ্বেগ

দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক-কর্মচারীদের উদ্দেশে সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের দেওয়া নোটিশ ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। 

শনিবার (১৩ মার্চ) ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাংবাদিক-কর্মচারীদের নোটিশের নামে হুমকি দিয়ে জনকণ্ঠে অস্থিরতা তৈরির যে পাঁয়তারা চলছে তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। মনে রাখা দরকার, সরকার প্রদত্ত হ্রাসকৃত শুল্কে নিউজপ্রিন্ট আমদানি, ঢালাও বিজ্ঞাপনসহ নানা সুবিধাদি গ্রহণের পরও যে পত্রিকায় সাংবাদিক-কর্মচারীদের টানা ৭/৮ বছর ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি দেওয়া হয়না, সেই পত্রিকা মালিকের মুখে হুমকি প্রদান বেমানান ও অশোভন। 

বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা ‘ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকণ্ঠ ইউনিট’ এবং দৈনিক জনকণ্ঠ সাংবাদিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ন্যায়সঙ্গত দাবির সঙ্গে সংহতি জানান। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। 

ডিইউজে মনে করে, জনকণ্ঠে এখন পর্যন্ত ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। অনেক সাংবাদিক-কর্মচারীকে থোক বেতন-ভাতা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা অশোভন এবং সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশের পরিপন্থী। আর্থিক সঙ্কটে অনেক সাংবাদিক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদের কোনো সুবিধাদি দেওয়া হচ্ছে না। 

ডিইউজে নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অন্যায়ভাবে কোনো একজন সাংবাদিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা যাবে না। এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের চিন্তা বা বাস্তবায়ন করা হলে সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

ডিইউজে মনে করে, বিশেষ একটি মহল জনকণ্ঠের নিয়মিত প্রকাশনা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা অতীতেও এ ধরনের চেষ্টা-ধান্ধায় সরকারের নজর কেড়ে বাড়তি সুবিধাদি আদায় করেছে। তাই জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ, ডিইউজে জনকণ্ঠ ইউনিট এবং দৈনিক জনকণ্ঠ সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদকে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়েছে ডিইউজে।

এছাড়া সাংবাদিক-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জনকণ্ঠের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিইউজে নেতারা। অবিলম্বে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতির দাবিও জানান তারা।