প্রথিতযশা সাংবাদিক কে জি মুস্তাফার প্রয়াণ দিবস


প্রথিতযশা সাংবাদিক কে জি মুস্তাফার প্রয়াণ দিবস

বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক কে জি মুস্তাফার একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১০ সালের ১৩ মার্চ ৮২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

৪৭ এ দেশ বিভাগের আগে কলকাতা ইসলামীয়া কলেজে পড়ার সময়ে কে জি মুস্তাফা পেশা হিসাবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। এ সময়ে তিনি কলকাতার দৈনিক আজাদ পত্রিকায় যোগ দেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ অবজারভার, দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক পূর্বকোণ ও দৈনিক সংবাদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ এর দশকে বাগদাদের একটি ইংরেজি দৈনিকে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নব্বইয়ের দশকে দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক ছিলেন। 

আইয়ুব খানের সামরিক শাসন তখনকার রাজনীতি ও সাংবাদিকতার জন্য খুব সুখকর ছিল না। যে কারণে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর ওপর বারবার নেমে এসেছে অত্যাচার, নির্যাতন। দেশের কথা, ন্যায়ের কথা বলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন, গিয়েছেন কারাগারেও। 

কে জি মুস্তাফা পাকিস্তান ফেডারেল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

তাঁর পুরো নাম খোন্দকার গোলাম মুস্তাফা। তিনি ছিলেন একাধারে একজন ভাষা সৈনিক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত। ষাটের দশকের সাংবাদিকতা, প্রগতিশীল রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তিনি ছিলেন  ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। সে সময় তাঁকে অনুসরণ করে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন অনেকেই। 

কে জি মুস্তাফা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।। সর্বশেষ তিনি ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

সাংবাদিকতার বিকাশ আর সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কে জি মুস্তাফা লড়াই করে গেছেন আজীবন। নীতি আর আদর্শের সঙ্গে আপোষ করেননি কখনো।