আদালতে কিশোরের হাজিরা


আদালতে কিশোরের হাজিরা

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে হাজিরা দেন তিনি।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আফছার আহমেদ রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু, দিদারুলের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেননি আদালত।

একই মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের জব্দ করা মোবাইল ও কম্পিউটার ফেরত দেওয়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। জব্দ করা জিনিসগুলো ফেরত দেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।

কার্টুন আঁকার ‘অপরাধে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে ৩০০ দিন কারাবন্দি ছিলেন আহমেদ কবির কিশোর। গত ৩ মার্চ তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। ৪ মার্চ তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

গেল বছরের মে’তে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। কিশোর ও মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কিশোর, মুশতাক ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পুলিশ জানায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাকি সাত আসামি—সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।

সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক ও মামলাটির নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আফছর আহমেদ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এর এক দিন পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।