কোভিড-১৯: এক বছরে নমুনা পরীক্ষা-সংক্রমণ-মৃত্যু


কোভিড-১৯: এক বছরে নমুনা পরীক্ষা-সংক্রমণ-মৃত্যু

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মেলে। সে হিসেবে কোভিড-১৯  সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর আজ।  এ সময়ের মধ্যে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৬২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ৩ জন। 

শুরুর কিছুদিন সংক্রমণের হার কম থাকলেও পরে তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। জুন-জুলাইয়ে সংক্রমণ-শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। ওই সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মানুষ মারাও গেছে বেশি। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে সংক্রমণ, শনাক্ত ও মৃত্যুহার।

শীতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়বে-সংশ্লিষ্টদের এমন আশঙ্কা থাকলেও, বাংলাদেশে শীতকালে সংক্রমণের হার বাড়েনি। শুধু তাই নয়, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ডিসেম্বর থেকে দেশে শনাক্তের হার কমতে থাকে যেখানে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন সংক্রমণের হার দেখা যায়।

করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ৫০তম দিনটি ছিল গত বছরের ২৬ এপ্রিল। ওইদিন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪১৬ জন, মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৫। ১৫ জুন একশ দিনের মাথায় সংক্রমণ ছিল ৯০ হাজার ৬১৯ জন, মৃত্যু ছিল ১ হাজার ২০৯টি।

সংক্রমণের দেড়শ দিনের মাথায় (৪ আগস্ট) সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনে। সেদিন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৩৪ জন। এর ৫০ দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর সংক্রমণের ২০০ দিনের মাথায় সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৪ জনে, মৃত্যু ৫ হাজার ৪৪ জনে।

২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশে পর্যবেক্ষণমূলকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পরে এদিন ২৬ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, এখনো প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ৭ মার্চ সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৫৪টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬০৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩৭ জন। আর মারা গেছেন ১১ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করায় মানুষের মৃত্যুঝুঁকি কমে আসবে। তবে এটি সংক্রমণ কমাবে না। আর এ কারণে সতর্কতায় ঘাটতি দেখা দিলে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে কয়েকগুণ। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সবধরনের সাবধানতা এখনও মেনে চলতে হবে।