সাংবাদিক সুরক্ষায় বিএমএসএফ'র ১৪ দফা দাবি


সাংবাদিক সুরক্ষায় বিএমএসএফ'র ১৪ দফা দাবি

ছবি- ঢাকা পোস্ট

১৪ দফা দাবিতে কলম বিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)।

২ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কলম বিরতি পালনকালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সাংবাদিক সমাজ অরক্ষিত রয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে সাংবাদিক সুরক্ষার আইন প্রণয়নের দাবী জানান বক্তরা।

সাংবাদিকদের তাদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর তার বক্তব্যে বলেন, "সাংবাদিকরা যেন এ পেশায় পর্যাপ্ত শিক্ষা নিয়ে প্রবেশ করে” এজন্য সাংবাদিকদের নিয়ম নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানায় তারা।

কর্মসূচি থেকে ১৪ দফার দাবি তোলেন তারা। দাবিগুলো হচ্ছে-

১. সরকার পক্ষ থেকে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা দ্রুত প্রণয়ন ও তাদের পরিচয়পত্র প্রদান;

২. সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা;

৩. নির্যাতন বন্ধে সাংবাদিকদের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা;

৪. ষষ্ঠ থেকে উচ্চতর ক্লাসের পাঠ্যবইয়ে গণমাধ্যম বিষয়ক একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা;

৫. সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিআরও পদে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ােগ দিতে হবে;

৬. পেশাগত কাজে সাংবাদিক নির্যাতিত শিকার ও হামলা-মামলার ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহন করতে হবে;

৭.  তালিকাভুক্ত সাংবাদিককে সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে;

৮. হরতাল ও অবরোধে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন আওতামুক্ত রাখতে হবে;

৯. প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের অনুকুলে কল্যাণ ফান্ড গঠন করতে হবে;

১০. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করতে হবে, তথ্য-প্রযুক্তির মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে পারবে না;

১১. সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ/মামলা করলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে দায়ের করতে হবে;

১২. বিটিভি, বাসস ও বাংলাদেশ বেতারে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে;

১৩. জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে সরকারের পক্ষে থেকে আগের মতোই প্রয়োজনীয় কাগজ বরাদ্দ দিতে হবে।

১৪. জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের সরকার ঘোষিত ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।

কলম বিরতিতে সংগঠনটির সহ সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন, ড. সাজ্জাদ চিশতী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ আকরাম উপস্থিত ছিলেন।