নৈতিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রশ্নে শাহ আলমগীর ছিলেন আপোষহীন


নৈতিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রশ্নে শাহ আলমগীর ছিলেন আপোষহীন

প্রয়াত সাংবাদিক, শিশু সংগঠক শাহ আলমগীরের স্মরণে খুব শিগগির গঠন হচ্ছে শাহ আলমগীর ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই ট্রাস্ট সাংবাদিকতায় বিশেষ ভূমিকার জন্যে শাহ আলমগীর স্মারক পুরস্কার দেবে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে "সাংবাদিকতায় শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ : শাহ আলমগীর" শীর্ষক আলোচনা সভায় এই ঘোষণা দেন সভা প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
 
নৈতিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রশ্নে পিআইবির সাবেক মহাপরিচালক শাহ আলমগীর ছিলেন আপোষহীন সভাপতির বক্তব্যে শাহ আলমগীরকে অনুসরণ করার কথা উল্লেখ করে সাবেক এই উপাচার্য বলেন, “তিনি হাতে কলমে সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন। আগামী প্রজন্মের কাছে শাহ আলমগীর এবং তাঁর কাজকে উপস্থাপন করা আমাদের সামনের দিনের দায়িত্ব”। সাংবাদিকতার শিক্ষা দান প্রসঙ্গে তিনি বলেন “বর্তমানে হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে যাওয়ায় সবাই সাংবাদিক হয়ে উঠেছে। তাই সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের জন্য শাহ আলমগীরকে কতো বেশি প্রয়োজন তা আমরা উপলব্ধি করছি”।
 
সভায় আলোচকের বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, “মানুষকে মূল্যায়ন করার যতোগুলো ঘাত উপঘাত আছে সবগুলো মিলিয়ে শাহ আলমগীর একজন সাচ্চা মানুষ ছিলেন, ভালো মানুষ ছিলেন, ভালো সাংবাদিক ছিলেন এবং সাংবাদিকদের শিক্ষক ছিলেন”।
সভায় আরটিভির উপ-বার্তা প্রধান মামুনুর রহমান খান শাহ আলমগীরের স্মৃতি চারণ করে বলেন, শাহ আলমগীর ছিলেন আমাদের একজন অভিভাবক। তিনি যা বিশ্বাস করতেন জীবনে তিনি তাই করেছেন এবং দেখিয়ে দিয়ে গেছেন কীভাবে সৎ থেকে, নিজের আদর্শ ধরে রেখে চেষ্টা করে গেলে সফল হওয়া যায়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, “শাহ আলমগীর প্রকৃতিগতভাবেই একজন শিক্ষক ছিলেন। তাঁর চলনে, বলনে, কথায়, আচরণে সবসময়ই কিছু শেখার ছিল।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমিন রিনভী বলেন, “সাংবাদিকতার একজন প্রকৃত শিক্ষক ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতা করতে এসে কীভাবে লিখতে হবে, কীভাবে বলতে হবে তা হাতে-কলমে শিখেছিলাম শাহ আলমগীর ভাইয়ের কাছ থেকে। তিনি বলতেন যতো তুমি শিখবে, যতো তুমি জানবে ততো তুমি ভালো করবে”।
 
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শাহ আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। বরেন্য সাংবাদিক শাহ আলমগীর ব্রডকাষ্ট জার্নালিষ্ট সেন্টার,বিজেসি’র প্রথম ন্যায়পাল ছিলেন।