দুর্নীতির ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ


দুর্নীতির ছবি তোলায় সাংবাদিক অবরুদ্ধ

ছবি- ডেইলি বাংলাদেশ

দুর্নীতির ছবি তোলায় অভিজিৎ ঘোষ নামে এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো হাসপাতালের দুই কর্মচারী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইল জেলার আরও কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অবরুদ্ধ সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি।

খবর নিয়ে জানা যায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কাউন্টারে করোনা টেস্টে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য রাখা হচ্ছে। এছাড়া পাঁচ টাকার টিকেট কাটতে দশ টাকা দিলে কাউন্টার থেকে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না। ফেরত চাইলে কাউন্টার থেকে খুচরা নেই বলে রোগীর অত্নীয় স্বজনদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।

করোনা টেস্ট করাতে আসা হৃদয় মন্ডল বলেন, “করোনার টেস্ট করানোর জন্য গেলে টিকেট কাউন্টারের কর্মচারী সোহাগ আমার কাছে এক হাজার টাকা চায়। আমি টাকা দেইনি তাই টেস্টও করাতে পারিনি”।

খবর পেয়ে সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে কাউন্টারের দুই কর্মচারী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, করোনার টেস্টের টিকেট কাটতে এক হাজার টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে কাউন্টারে আসি ও ছবি তোলা শেষে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিতে যাই। ফেরার সময় তারা আমাকে সেখান থেকে যেতে নিষেধ করে। আরএমও’র নির্দেশে হাসপাতালের কর্মচারী সোহাগ আমাকে টিকেট কাউন্টারের বাইরে আটকে রাখে ও দরজার সামনে হাসপাতালের কয়েকজন লোককে দাঁড় করিয়ে রাখে।

জানতে চাইলে আউটডোর টিকেট কাউন্টারের ইনচার্জ রুবেল জানান, হাসপাতালে অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষেধ। ওই সাংবাদিক কাউন্টারে এসে ছবি তুলছিল ও ভিডিও করছিল। পরে তাকে আরএমও’র রুমে যেতে বলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরই ওই সাংবাদিককে আমার রুমে নিয়ে যেতে বলি কিন্তু সে আসেনি। তাকে টানাহেঁচড়া কিংবা অবরুদ্ধ করা হয়নি।