সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ্‌ খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ


সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ্‌ খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি : সংগৃহীত

 

দৈনিক নিউ এজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ্‌ খানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এনায়েতুল্লাহ খান আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং দর্শনে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন এবং শহীদুল্লাহ হল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন। তিনি আবদুল হামিদ খান ভাসানী সঙ্গে ফারাক্কা লং মার্চ কমিটিতে যোগ দেন।

১৯৫৯ সালে পাকিস্তান অবজারভারের প্রতিবেদক হিসেবে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডে প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৬৬ সালে এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ প্রকাশ করেন। এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ১৯৭৩-৭৬ সালে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ১৯৮৪-৮৫ সালে ঢাকা ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি মন্ত্রী (১৯৭৭-৭৮) এবং বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার বিচারপতি মরহুম আবদুল জব্বার খানের তৃতীয় সন্তান এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ১৯৩৯ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। এনায়েতউল্লাহ খানের ডাকনাম ছিল মিন্টু। তার ভাই-বোনরা হলেন সাংবাদিক সাদেক খান, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এবং বিএনপি সরকারের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী (অষ্টম জাতীয় সংসদ) বেগম সেলিনা রহমান, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল।