সাংবাদিক মাসউদুরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি


সাংবাদিক মাসউদুরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ছবি : সংগৃহীত

 

কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) 'চ্যানেল টুয়েন্টিফোর'-এর সিনিয়র রিপোর্টার মাসউদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রত্যাহারের চেয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি ।

২৮ অক্টোবর, বুধবার এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি হাসিব বিন শহিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

এ ধরণের মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা চর্চার জন্য অবিলম্বে এই সাজানো মামলার প্রত্যাহার করতে হবে।

মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিক মাসউদুর রহমান বিজেসি নিউজকে বলেন, 'যেহেতু তারা একটা মামলা করেছে, আমরা আদালতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আদালত যেভাবে পিবিআই কে তদন্ত দিয়েছে, পিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। আমরা সব ধরণের ডকুমেন্ট নিয়েই মাঠে নেমেছি। তারপরও হয়রানির শিকার হচ্ছি। মহামান্য আদালত যে আদেশ দিবেন আমরা সেটাই মেনে নিব। আমরা বিশ্বাস করি যে কোর্টের সামনে এটা পরিস্কার হয়ে যাবে যে তারা ভুল ছিল। তথ্য প্রমাণ নিয়েই আমরা নিউজটা করেছি। তাদের অভিযোগ আমরা তাদের বক্তব্য নিইনি। আমরা যখন সুপ্রিম কোর্টে  রিপোর্টিং করি, যিনি ভুক্তভোগী তার অনুমতি নিয়েই আমরা নিউজ করি। পরে ওই পক্ষ যখন ব্যাখ্যা চাইতে আসে, তখন আবার আমরা ব্যাখ্যা করি। এটাই সুপ্রিম কোর্টে যারা নিউজ করে তাদের কাজ'।

মাসউদুর রহমান বিজেসি নিউজকে আরো বলেন, 'এখানে নিশ্চয়ই তাদের বুঝার ভুল আছে। কোন প্রক্রিয়ায় রিপোর্টিং হয় সেটা তো তারা জানেন না। এটার জন্য অথবা আবেগের বশেও করতে পারেন মামলাটা। আবার ব্যক্তিগত ক্ষোভও থাকতে পারে। মাকে আটকে রেখেছে বা মাকে যেতে দিচ্ছে না এটা নিয়ে প্রথম সুষ্ঠু রিপোর্ট আমরাই করি এবং বাংলাদেশের সব মিডিয়াই এ নিউজ করেছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, রবিবার হাইকোর্ট রায়ও দিয়েছে যে বাচ্চার বাবা বা দাদা শিশুটিকে কিছুতেই যেন দেশের বাইরে নিয়ে যেতে না পারেন। সুতরাং, আমাদের নিউজটা সত্য। নিম্ন আদালতে বাবার পক্ষে যে রায়টা এসেছে সেটাও কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে একটি রুল ও দিয়েছে। উনারা মুলত জানেন না তাই হয়তো মামলাটা করেছেন’।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ছেলে মুশফেক আলম সৈকত বিচারাধীন মামলা নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল ২৪’, চ্যানেলটির বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদক মাসউদুর রহমানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।