ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ নভেম্বর


ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ নভেম্বর

ছবি : সংগৃহীত

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে করা পৃথক তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

২১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

কাজলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহেদুর রহমান জানান, এদিন মামলা তিনটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আগামী অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

যুব মহিলা লীগের নেত্রী পাপিয়াকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করায় গত বছরের ৯ মার্চ রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। তাকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে ১৮ মার্চ রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি।

কাজলকে বিজিবি আটক করার পর বেনাপোল থানায় অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। ৩ মে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। তবে ঢাকায় দায়ের করা তিন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়। এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হোন তিনি।

সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলকে জামিনের আদেশ দেন। এর আগে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৪ নভেম্বর কাজল জামিন পান হাইকোর্ট থেকে। সবশেষ গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শফিকুল ইসলাম কাজল।