ডিজিটাল আইনে করা মামলার চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ


ডিজিটাল আইনে করা মামলার চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি : সংগৃহীত

 

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

১৮ অক্টোবর, সোমবার এই নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন ।

আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ আদালত এই চারজনের সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পত্তি ক্রোক করার পর আগামী ৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ১৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আফছার আহমেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলা চলমান অবস্থায় মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহমেদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে এক ব্যক্তিকে (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি) মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। সোমবার ট্রাইবুনাল তাদেরকে অব্যাহতি দেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেন রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

এ মামলায় প্রথমবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে। তখন তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ৫ মে র‍্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।