জি বাংলার পর ক্লিনফিডসহ সম্প্রচারে স্টার জলসা


জি বাংলার পর ক্লিনফিডসহ সম্প্রচারে স্টার জলসা

ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার সম্প্রচার শুরুর পর এবার স্টার জলসাও ক্লিনফিডসহ সম্প্রচারে এসেছে। ১৬ অক্টোবর, শনিবার রাত থেকে বাংলাদেশে চ্যানেলটির সম্প্রচার শুরু হয়েছে।

এর আগে তথ্য মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের পর বিজ্ঞাপনযুক্ত কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার না করার নির্দেশ দেয়। ফলে এক অক্টোবর থেকে ক্যাবল অপারেটর ও ডিটিএইচ বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনযুক্ত বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়।

এর দুই সপ্তাহ পর ১৪ অক্টোবর ক্লিনফিড চ্যানেল হিসেবে প্রথম সম্প্রচারে আসে জি বাংলা। এরপর বিজ্ঞাপন ছাড়াই বাংলাদেশে সম্প্রচারে ফিরেছে স্টার জলসা।

ক্লিনফিডসহ প্রচারিত অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বিরতিতে স্টার জলসার পর্দায় একটি ঘোষণা ভেসে উঠছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘সম্মানিত গ্রাহক, বিজ্ঞাপন বিধিনিষেধের জন্য বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। বিজ্ঞাপন বিরতি শেষে অতি শিগগিরি আমরা মূল অনুষ্ঠানে ফিরে আসছি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’

এদিকে, ক্লিনফিড চ্যানেল হিসেবে জি বাংলা সম্প্রচারে এলেও দেশের কোনো কোনো জায়গায় বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেলটির সম্প্রচার চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াবের সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘এটি এখনো পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। দুই একটা মিসটেক থাকবে। সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ক্যাবল অপারেটর আছেন। অনেকে অনেক কিছু জানেন না। বিষয়টি জানতে দুই-চার-পাঁচদিন সময় লাগবে। যারা জানেন না তারা টিউনিং করতে পারছেন না। তাই আগের ফিডটাই প্রচার হচ্ছে।’

ছবি : সংগৃহীত

 

এর মধ্যেই বিজ্ঞাপনমুক্ত হয়ে জি বাংলা ও স্টার জলসা সম্প্রচারে আসায় অন্য চ্যানেলগুলো ক্লিনফিডে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ক্যাবল অপারেটর ও পরিবেশকেরা। স্টার জলসার বাংলাদেশে পরিবেশক জাদু ভিশন। আর জি বাংলার পরিবেশক মিডিয়া কেয়ার।

তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জি বাংলা, স্টার জলসা সহ এখন বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা এইচডি, ডিডব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র‍্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কোরআন, আল সুন্না, ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন টেলিভিশন বাংলাদেশের দর্শকেরা দেখতে পাচ্ছেন। এর সবই ক্লিনফিডে প্রচারিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে ২০০৬ সালের ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা নিয়ে আইন প্রণীত হয়। সে আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না।’