সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ৩১ লেখকের বিবৃতি


সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ৩১ লেখকের বিবৃতি

ছবি : সংগৃহীত

 

দেশের ৩১ জন কবি-সাহিত্যিক বিগত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্নস্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর, শনিবার দেয়া বিবৃতিতে এসব ঘটনাকে নজিরবিহীন ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন তারা।

'কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে "কোরান রাখার" ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা ঘটার পর প্রশাসন আরও সতর্ক হলে হাজীগঞ্জসহ অন্যত্র এর পুনরাবৃত্তি ঘটতো না', বলে বিবৃতিতে বলেন তারা।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, 'কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য এই ঘটনা সাজিয়ে থাকতে পারে। ঘটনা সাজিয়ে তারা সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। জনগণ সচেতন হলে ষড়যন্ত্রীরা কোনোভাবেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে পারতো না।'

'জনগণকে সচেতন করা, তাদের মননকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার দায় রাষ্ট্রের' উল্লেখ করে কুমিল্লার ঘটনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে।

'সাম্প্রদায়িকতা একটি জাতীয় সমস্যা' উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, 'এই সমস্যা নিরসনে ধারাবাহিক জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা যেতে পারে। দেশের শিক্ষাবিদ, লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, আলেম, পুরোহিতসহ সব ধর্মের নেতাদের নিয়ে, সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে, আলোচনা করে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মূল চিহ্নিত করা যেতে পারে।'

বিবৃতিদাতা লেখকরা হলেন-ইমতিয়ার শামীম, শাহনাজ মুন্নী, আহমাদ মোস্তফা কামাল, কবির হুমায়ূন, শামীম রেজা, আলফ্রেড খোকন, চঞ্চল আশরাফ, টোকন ঠাকুর, রাজীব নূর, ওবায়েদ আকাশ, হেনরী স্বপন, সাইমন জাকারিয়া, রেজা ঘটক, পিয়াস মজিদ, সরকার আমিন ও অন্যরা।