মহানগর দায়রা আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের মাদক মামলা


মহানগর দায়রা আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের মাদক মামলা

ছবি : সংগৃহীত

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

১৩ অক্টোবর, বুধবার গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মামলাটি গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। মহাননগর আদালতের সেরেস্তা থেকে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে ১০ অক্টোবর, রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। সেদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে স্থায়ী জামিন আদেশ দেন।

৩১ আগস্ট পরীমণিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ।

৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরীমণি, আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২২ আগস্ট কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এতদিন পর শুনানির দিন ধার্য করায় পরীমণির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। তারা দ্রুত জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে এনে ১৩ সেপ্টেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট ধার্য করেন।

৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। এসময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। সেসময় তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় র‍্যাব-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরীমণিকে তিন বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান পরীমণি।

২৮ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমণিকে তার গাড়ি, আইফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ ১৬টি আলামত ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।