রিমান্ড শেষে সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন কারাগারে


রিমান্ড শেষে সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন কারাগারে

ছবি : সংগৃহীত

 

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির সাবেক সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগ থেকে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, নুসরাতকে দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় পুলিশ আদালতে নুসরাতকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। তবে নুসরাতের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নুসরাতের জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ৪ অক্টোবর, সোমবার রাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদক আইনে দুটি মামলা করা হয়।

৬ অক্টোবর, বুধবার নুসরাত শাহরিন রাকার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর আদালত।

রাকাকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কনক সারোয়ারকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিনি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারকারী ও ষড়যন্ত্রকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য ছাড়াও বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন’।

তবে নুসরাত শাহরিন রাকা, কনক সারোয়ারের বোন এ কথা র‍্যাব জানতো না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। রাকাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে আইস মাদক পাওয়া যায় বলেও জানায় র‍্যাব। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আসামি নুসরাত শাহরিন সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যা, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিলেন। তার ভাই কনক সারওয়ার বিদেশে অবস্থান করে সরকারবিরোধী নানা ধরণের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছেন।

অবশ্য আসামিপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, নুসরাত শাহরিনের নামে ভুয়া আইডি খোলা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।