বরেণ্য অভিনেতা ইনামুল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা


বরেণ্য অভিনেতা ইনামুল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা

ছবি : সংগৃহীত

 

বরেণ্য অভিনেতা, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এ আয়োজনে বিভিন্ন অভিনয় শিল্পী, নাট্যকার, শিক্ষাবিদ রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিয়েছেন তিনি।

১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের একুশে পদকজয়ী এ গুণী শিল্পীর মরদেহ জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেয়া হয়।

সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, তানজিকা আমিন, নাতাশা হায়াত, মোমেনা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মীর সাব্বির, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইনামুল হকের দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হক এবং তাদের স্বামী লিটু আনাম ও সাজু  খাদেম।

পরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে চিরশায়িত করা হয়েছে। 

এর আগে সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ড. ইনামুল হক। পরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

ইনামুল হকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী সদরের মটবী এলাকায়। তার বাবা ওবায়দুল হক ও মা রাজিয়া খাতুন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে প্রভাষক হিসেবে বুয়েটের রসায়ন বিভাগে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি সহকারি অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

ড. ইনামুল হকের অভিনয় জীবন শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। জনগণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নাটকের পথ বেছে নেন তিনি। একাত্তরে ঢাকার বিভিন্নস্থানে ট্রাকে ঘুরে ঘুরে পথনাটক করেছেন। পরবর্তীতে তিনি টিভি নাটক, সিনেমা এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে অভিনয় করে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

২০১২ সালে ড. ইনামুল হক একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।