‘সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে’


‘সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে’

ছবি : সংগৃহীত

 

‘বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে যারা অপ্রপচার চালাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট রয়েছে।’

১০ অক্টোবর, রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিআরইউয়ের সভাপতি মোরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে পারব। আর অপরাধীরা যেসব দেশে আছে, সেই দেশের আইনের আওতায় আনতে পারব।’

এর আগে বিদেশে অবস্থান করে যারা সাইবার অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত ৯ অক্টোবর, শনিবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় নবনির্মিত জুড়ী থানা ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, ওই সব অপরাধীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের হয়রানি করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে বসে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহক প্রতারণায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তবে এই আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। এর জন্য এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। মামলা হলেই যেন সাংবাদিকরা গ্রেপ্তার না হোন, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে’।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের ফৌজদারিতে তদন্তের ভার পুলিশের হাতে। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ বা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাপের বিষয় আসছে না। আপনারা যেহেতু বলেছেন, এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব।’