কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আবারো সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ


কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আবারো সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ

ছবি : সংগৃহীত

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবলীগ নেতা বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার একান্ত সহযোগী পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ ওরফে হামিদ।

আহত সাংবাদিকের নাম নাসির উদ্দিন। তিনি দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন ও আঞ্চলিক দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।

জানা গেছে, ১০ অক্টোবর, রবিবার রাতে বসুরহাট পৌরসভা ভবনের দক্ষিণ গেটে মোশারফ হোসেন ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে বর্তমানে নিজ বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন নাসির উদ্দিন।

সাংবাদিক নাসির উদ্দিন জানান, বসুরহাট পৌরসভার দক্ষিণ গেটের মোশারফ হোসেন ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। সেসময় কয়েকজন সহযোগী নিয়ে যুবলীগ নেতা হামিদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন তিনি যুবলীগ নেতা হামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হামিদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হোন।

সাংবাদিক নাসির আরো বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে কারো ওপর হামলা চালাতে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ লাগে না। এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাকে বিচারের আশ্বাস দিয়েছে’।

জানা গেছে, চা দোকানে বসেছিলেন সাংবাদিক নাসির। বসে থাকা অবস্থায় কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর ও তার ঘোষিত পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ ওরফে হামিদের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা রিকশার চেইন, ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে তাকে মাথায়, পায়ে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ হামিদ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘তিনি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক ভালো।’

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

গত ৮ মাসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির নামে এক সাংবাদিক মারা যান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারীরা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও মেয়রের যোগসাজশে তার অনুসারীরা ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়। অনেক সাংবাদিক আতঙ্কে নিরাপত্তার অভাবে এখনো এলাকা ছাড়া রয়েছেন।