এ পর্যন্ত ৮২ হাজার অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট বন্ধ করেছে বিটিআরসি


এ পর্যন্ত ৮২ হাজার অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট বন্ধ করেছে বিটিআরসি

ছবি : সংগৃহীত

 

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারে (এনইআইআর) নিবন্ধিত না থাকায় ০১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।

২ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬৮টি নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে চাইলেও যুক্ত হতে দেয়নি বিটিআরসি।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, গত ০১ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল থেকে ০২ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার হ্যান্ডসেট প্রথমবারের মতো নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন অনিবন্ধিত মোবাইল হেন্ডসেটের মালিকরা বিটিআরসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের জন্যে ১২ ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন।

বিটিআরসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব সক্রিয় মোবাইল ফোন এনইআইআরে নিবন্ধিত করেছে।

এনইআইআর হচ্ছে বিটিআরসির ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটির (আইএমইআই) ডাটাবেজ। এটি গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে এবং গত ১ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে।

বিটিআরসির তথ্য অনুসারে, কেউ নতুন মোবাইল ফোন দিয়ে সেলুলার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করলে, ফোনটি নিবন্ধিত কিনা তা জানিয়ে তাকে বার্তা পাঠানো হবে। সেই বার্তায় যদি মোবাইল ফোনটি অনিবন্ধিত বলে জানানো হয়, তবে তাদেরকে বিটিআরসি neir.btrc.gov.bd তে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে নিবন্ধন করার পরামর্শ দিয়েছে।

বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য অন্যান্য তথ্যের পাশাপাশি ফোনের বিক্রয় রসিদ ও ব্যবহারকারীর পাসপোর্ট নম্বর প্রয়োজন হবে।

তারা আরও জানান, নতুন মোবাইল কেনা ব্যক্তিরা KYD (স্পেস) ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই মোবাইলটি নিবন্ধিত কিনা তা জানতে পারবেন। আইএমইআই নম্বর বক্সে লেখা থাকে। এছাড়া, *#06# ডায়াল করেও আইএমইআই নম্বর জানা যায়।

বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় একজন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ৮টি হ্যান্ডসেট আনতে পারেন। এর মধ্যে ২টি ফোন শুল্ক ছাড়া আনার অনুমতি আছে।

চলতি মাস থেকে যারা গ্রাহকদের কাছে অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট বিক্রি করবেন, তাদের অবশ্যই ক্রেতাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।