‘গণমাধ্যম-অর্থনীতির স্বার্থেই টিভিতে ‘ক্লিনফিডের’ পদক্ষেপ’


‘গণমাধ্যম-অর্থনীতির স্বার্থেই টিভিতে ‘ক্লিনফিডের’ পদক্ষেপ’

ছবি : সংগৃহীত

 

বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

১ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে চ্যানেল আই টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইন অনুসারে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় শুক্রবার থেকে দেশে বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে- এমন বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর প্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইনভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো, অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো। ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের পর বিজ্ঞাপনযুক্ত কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার করা যাবে না। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কেবল অপারেটররা বিজ্ঞাপন থাকা বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে।

এদিকে, বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। দেশের সকল টিভিতে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ক্রল প্রচারের পাশাপাশি বিজেসি এনিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে। 

বিজেসি'র বিবৃতিতে বলা হয়, '২০০৬ সালের ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে এ বিধান থাকলেও, এর আগে কখোনই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত  জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। এতে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। '

ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাশ হলে, প্লাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’