১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় সিপিজের নিন্দা


১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় সিপিজের নিন্দা

ছবি : সংগৃহীত

 

১১ সাংবাদিক নেতাসহ ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলে, বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তদন্ত বন্ধ করতে হবে এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।

সিপিজের বিবৃতিতে বাংলাদেশের ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে। দেশি গণমাধ্যম ও গোপন সূত্রের বরাতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত ১১ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জানাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর পৃথক আদেশে বাংলাদেশের আরও ১১ সাংবাদিকের তথ্য চায় বিএফআইইউ। এই সাংবাদিকেরা সবাই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নির্বাহী সদস্য।

ব্যাংক হিসাব তলব করা এই ১১ সাংবাদিক নেতার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রেস সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (বিএনপি সমর্থিত) আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি সমর্থিত) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

এদের মধ্যে এম আব্দুল্লাহর সঙ্গে মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিজে। এ সাংবাদিক নেতা, সংগঠনটিকে বলেছেন, তাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার কারণ এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে এ তদন্তের উদ্দেশ্য এখনো অজানা।

সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও অবাধে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে সিপিজে’র এশিয়া প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর স্টিভেন বাটলার বলেন, ‘এক ডজন বিশিষ্ট সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তদন্ত ‘সন্দেহজনক’। এটি গণমাধ্যমকে ভয় দেখানোর লক্ষ্যে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগের মতো মনে হয়।