প্রেস ক্লাবের প্রথম নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন


প্রেস ক্লাবের প্রথম নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন

জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, ফরিদা ইয়াসমিন। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস খান।

এই নির্বাচনে ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন, ৫৮১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। 

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।  এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সিনিয়র সভাপতি হয়েছেন হাসান হাফিজ। তিনি পেয়েছেন ৪১৩ ভোট। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট, রাশেদ চৌধুরী পেয়েছেন ১৭৯ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন রেজোয়ানুল হক রাজ। তিনি পেয়েছেন ৬১৫ ভোট। একই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার হাসনাত করিম পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মাঈনুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন দৈনিক সমকালের সিটি এডিটর শাহেদ চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭০৬ ভোট।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ১০জন। এরা হলেন,  আয়ুব ভূঁইয়া, জাহিদুজ্জামান ফারুক, ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, রহমান মুস্তাফিজ, রেজানুর রহমান, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাজী রওনা হোসেন, বখতিয়ার রাণা, শাহনাজ বেগম পলি।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ফলে ফরিদা ইয়াসমিন প্রেস ক্লাবের প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে সবশেষ কমিটিসহ টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদেও তিনিই প্রথম নারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোট ভোটার ১ হাজার ১৫১ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাজার। মোট ভোটারের তুলনায় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৮৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৪৬ জন প্রার্থী ছিলেন। ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক এবং ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানের নেতৃত্বাধীন দুটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেয়। এ দুটি প্যানেলের ৩৪ প্রার্থী ছাড়াও ১২ জন স্বতন্ত্রভাবে বিভিন্ন পদে ভোটে দাঁড়ান।

অন্যদিকে, কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান পরিষদে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হাসান হাফিজ, সহ সভাপতি পদে খন্দকার হাসনাত করীম, যুগ্ম সম্পাদক পদে নাজমুল আহসান ও সৈয়দ আলী আসফার এবং কোষাধ্যক্ষ পদে সালাউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সদস্য পদে মোস্তফা কামাল মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাজী রওনাক হোসেন, বখতিয়ার রানা, শামসুল হক দুররানী, কামরুল হাসান দর্পণ, নূরুননবী রবি, জিয়াউদ্দিন সাইমুম, শাহনাজ বেগম পলি এবং মো. গোলাম কিবরিয়া অংশ নেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে রাশেদ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বখতিয়ার রানা নির্বাচন করেন। আরসদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবু দারদা যোবায়ের বিন হাবীব, কেএম শহীদুল হক, গাউসুল আজম বিপু, নির্মল চক্রবর্তী, মো. ফেরদাউস মোবারক, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, শামীমা আক্তার দোলা ও সেবিকা রানী।

এই নির্বাচনে ১০টি সদস্য পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

সিনিয়র সাংবাদিক মো. মোস্তফা-ই-জামিলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ নির্বাচন পরিচালনয় ছিলেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম শওকাত হোসেন, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া (শেলু বড়ুয়া), শামীমা চৌধুরী ও মো. মনিরুজ্জামান।