মিয়ানমারের মিডিয়ায়, বিভিন্ন রোহিঙ্গাগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ


মিয়ানমারের মিডিয়ায়, বিভিন্ন রোহিঙ্গাগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ

ছবি : সিউল আহমেদ (ফাইল)

 

ফেসবুকের গণহত্যার কনটেন্ট প্রকাশে রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। এদিকে, রায় ঘোষণার আগে থেকেই মিয়ানমার বলছে, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পুরনো এবং নতুন সশস্ত্র মুসলিম দলগুলো তৎপরতা চালাচ্ছে। এসকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

ফেসবুক এসব কনটেন্ট প্রকাশ পেলে বিশ্ব জানবে কীভাবে মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়েছিল। তাই ফেডারেল আদালতের রায়ের পর মিয়ানমার কিছুটা চিন্তিত। এদিকে, মিয়ানমারের দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নাশকতা চালিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলেছে। তবে তাদের এ সংবাদে আন্তর্জাতিক মহলের কোন সমর্থন পাওয়া যায়নি।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। এই অবস্থায় মিয়ানমারের গণমাধ্যম বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন এবং আব্দুল্লাহ কেনের নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠী তৎপরতা চালাচ্ছে। মিয়ানমারের মিডিয়ার দাবি, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশ সীমান্তে মংডু টাউনশিপের নিরাপত্তা চৌকিতে প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে। এদিকে, সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি বলছে, রাখাইন রাজ্যের মুসলিম গ্রামবাসীরা তাদের কাছে অভিযোগ করেছে, যারা একসময় এআরএসএ-কে সমর্থন করেছিল তারাই হামলার মুখে পড়েছিল।

২ সেপ্টেম্বর মংডুর একজন গ্রাম প্রশাসককে ডাকাত মনে করে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর তারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আব্দুল্লাহ কেনের বাহিনীকে দায়ী করেছে। মিয়ানমারের মিডিয়া বাংলাদেশ থেকে মংডুতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে বলেও দাবি করেছে।

এছাড়া তারা একটি ভিডিও প্রচার করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের যোদ্ধারা কীভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বাংলাদেশের কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে একটি গ্রুপ তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম অভিযোগ করেছে। তবে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে মিয়ানমার মিডিয়ার এই সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।